X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিটি আত্মহত্যায় দায় আছে আপনার-আমার

ডা. জাহেদ উর রহমান
০১ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৪৬আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৪৯

ডা. জাহেদ উর রহমান ইভানা নামে একজন নারীর আত্মহত্যার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে ভীষণ আলোচনা তৈরি করেছিল। দেশের প্রায় সব মিডিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি প্রচার হয়েছিল। এমন চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে আর সব সময় যা হয়, নানা রকম ভেতরের খবর দিয়ে আমাদের কৌতূহল নিবৃত্তির চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু এই আত্মহত্যাই নয়, প্রতিটি আত্মহত্যার পরই আমাদের অবধারিত কৌতূহল থাকে কেন কোনও ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে, আর মিডিয়া খুবই আগ্রহীভাবে সেই কৌতূহল মেটানোর চেষ্টা করে। আর এখন তো সামাজিক মাধ্যমও আমাদের অনেক কৌতূহল মেটাতে কাজ করে।

আত্মহত্যার কারণ নিয়ে একটা তথ্য জানলে প্রতিবার হয়তো আমাদের এই কৌতূহল হতো না। পৃথিবীর সব আত্মহত্যার কারণ স্রেফ একটা। হ্যাঁ, আপনি ভুল পড়েননি। আত্মহত্যার একমাত্র কারণটি নিয়ে কথা বলবো আরেকটু পরে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর ১১ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। মানে প্রতিদিন ৩০ জনের বেশি। আত্মহত্যার বৈশ্বিক হার (প্রতি লাখে ১০ জন)-এর তুলনায় বাংলাদেশে এই হার তুলনামূলক কম, (প্রতি লাখে ৬.৫ জনের বেশি)। কিন্তু আমাদের জন্য আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, প্রতি বছর বৈশ্বিক আত্মহত্যার হার ক্রমান্বয়ে যখন কমে আসছে আমাদের হার বাড়ছে।

আত্মহত্যা কেন বাড়ছে, কীভাবে সেটা কমিয়ে আনা যায়, সেসব নিয়ে মনোবৈজ্ঞানিক, সমাজতাত্ত্বিক নানাদিক থেকে আলোচনা করাই যায়। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, সেই আলোচনা আমাদের সমাজে খুব কমই হয়। অবশ্য সেই আলোচনা করার জন্য আজকের এই কলামটি লিখছি না। এই কলামের বিষয় একটু ভিন্ন একটা দিক নিয়ে।

আমরা যে ভাষায় মিডিয়ায় আত্মহত্যার খবর দেই, কিংবা যে ভাষায় আমরা নিজেদের মধ্যে কারও আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করি, আত্মহত্যাকে আমরা আমাদের সাহিত্যে, শিল্পে, সিনেমায় যেভাবে দেখানোর চেষ্টা করি, সেটার দিকে কি আমরা কখনও ন্যূনতম মনোযোগ দিয়েছি? আমরা হয়তো খেয়ালই করি না আমাদের প্রতিটা সংবাদে, কিংবা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় আত্মহত্যাকে এক ধরনের যৌক্তিকতা অজান্তেই দিয়ে দেই।

"বখাটের অত্যাচারে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা", "লজ্জায় ধর্ষিতার আত্মহত্যা", "দাম্পত্য কলহের জের ধরে চট্টগ্রামে চিকিৎসকের আত্মহত্যা", "বিচ্ছেদ, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা", "দারিদ্র্য সইতে না পেরে আত্মহত্যা", "নীলফামারীতে মাস্টার্স পাস বেকার যুবকের আত্মহত্যা", "ঋণের বোঝা সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা", "সরকারি চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় যুবকের আত্মহত্যা" - এগুলো সব এই দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিকের আত্মহত্যার খবরের শিরোনাম। আত্মহত্যা, বাংলাদেশ এসব ট্যাগ দিয়ে গুগলে সার্চ করলেই দেখা যাবে আমাদের প্রতিটা সংবাদ-এর বিস্তারিত এবং হেডলাইনের একটা বিশেষ ধারণা আছে। প্রতিটি সংবাদে এটা যৌক্তিকতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যে মানুষটা আত্মহত্যা করেছে তার কত কষ্ট ছিল এবং সেই কষ্টের কারণে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।

আমরা নিজেরাও যখন জাতীয়ভাবে আলোচিত কোনও আত্মহত্যা অথবা আমাদের পাশের কোনও আত্মহত্যা নিয়ে আলোচনা করি আমরাও এমনভাবে কথা বলে, যার মূল কথাটা এমন দাঁড়ায় আত্মহত্যাকারী মানুষটা কতটা কষ্টে ছিল যে সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। সবাই মিলে আমরা এমন একটা হাইপোথিসিস সমাজে দাঁড় করাই যে জীবনে এমন কোনও পরিস্থিতি আছে যেখানে আত্মহত্যা করা যায়। আসলেই কি আছে তেমন কিছু?

আত্মহত্যার কি আসলেই আছে কোনও যৌক্তিক কারণ? এখন পর্যন্ত শুধু একটা ক্ষেত্রে মানুষ তার নিজের জীবনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে এ রকম আলোচনা হচ্ছে। এটা হচ্ছে অ্যাক্টিভ ইউথ্যানাসিয়া। কোনও মানুষ যদি এমন রোগে আক্রান্ত হয়, যার প্রভাবে সে খুব কম সময় বাঁচবে কিন্তু সেই সময়টাও সে প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাবে- এমন ক্ষেত্রে একজন মানুষ তার নিজের স্বেচ্ছামৃত্যু বেছে নিতে পারবে কিনা এটা নিয়ে পৃথিবীতে এই মুহূর্তে যথেষ্ট আলোচনা হচ্ছে। কোনও কোনও দেশ এটার অনুমতি এরমধ্যে দিয়েছেও; কানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং কলম্বিয়া এর উদাহরণ। এর বাইরে মানুষের আত্মহত্যা করার মতো পরিস্থিতি নেই- এটা নিয়ে বড় ধরনের ঐকমত্য আছে, যদিও হাতে গোনা কিছু মানুষ আত্মহত্যাকে মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতার সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ বলেন।

পৃথিবীতে বেশ কিছু খুব ভালো মানের গবেষণা হয়েছে, যেগুলো প্রমাণ করে আত্মহত্যার খবর আমরা যেভাবে পরিবেশন করি সেটা অন্য মানুষের আত্মহত্যা করার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। বিশেষ করে অনুকরণ করে করা আত্মহত্যার (কপিক্যাট সুইসাইড) ক্ষেত্রে এর প্রভাব বিরাট। সেই কারণে আত্মহত্যার খবর পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশেই নীতিমালা আছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ সংক্রান্ত অনেক গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে আত্মহত্যার রিপোর্টিংয়ের ধরনের সঙ্গে আত্মহত্যার যোগসূত্রের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। এবং সেই সূত্রে আত্মহত্যার খবর মিডিয়ায় কীভাবে দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে একটা দিকনির্দেশনাও তারা দিয়েছে। সেগুলো মোটামুটি এরকম -

১. আত্মহত্যার বর্ণনায় এমন ভাষা ব্যবহার করা কোনোভাবেই উচিত নয়, যেটা আত্মহত্যাকে চাঞ্চল্যকর করে তোলে, কিংবা এটাকে খুব স্বাভাবিক ঘটনা বানিয়ে ফেলে কিংবা আত্মহত্যাকে সমস্যার একটা সমাধান হিসেবে দেখানো হয়।

২. আত্মহত্যার সংবাদ পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাখা যাবে না এবং আত্মহত্যার বর্ণনার অহেতুক পুনরাবৃত্তি করা হবে না।

৩. সংবাদে একটা আত্মহত্যা বা আত্মহত্যা চেষ্টার স্থান এবং পদ্ধতি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা থাকবে না।

৪. খুব সতর্কভাবে হেডলাইনে ভাষা ব্যবহার করতে হবে এবং সেখানে 'আত্মহত্যা' শব্দটি বাদ দিতে হবে।
৫. ছবি বা ভিডিও না দেওয়াই উচিত হবে, দিলেও সেই ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৬. সেলিব্রিটিদের আত্মহত্যার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সেটাকে এমনভাবে উপস্থাপন করা উচিত হবে না, যাতে সেটা তাকে গৌরবান্বিত করে।

এখন পর্যন্ত যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আমাদের হাতে আছে যে আত্মহত্যার সংবাদ মিডিয়ায় যত বেশি আসে এবং সেটা যদি অসংবেদনশীল ভাষায় লিখা হয় এবং আমরা যদি সেটাকে ভুলভাবে আলোচনা করি, তাহলে সেটা আরও বহু মানুষকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। বিশেষ করে একই রকম পরিস্থিতিতে পড়া একই মানুষ এক‌ইভাবে আত্মহত্যা (কপিক্যাট সুইসাইড) করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।  

একটা বদ্ধ জায়গায় চারকোল পুড়িয়ে তারপর সেখানে কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যার একটা চর্চা শুরু হয়েছিল তাইওয়ানে। এই আত্মহত্যার খবরগুলো যখন পত্রিকায় বিস্তারিত আসতে শুরু করলো তখন দেখা গেলো সে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা তো বেড়েছেই, সঙ্গে বহু আত্মহত্যাকারী ব্যবহার করছিলেন চারকোলের ওই পদ্ধতি। পরে একই প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ে হংকং, চীন ও জাপানেও।

সাম্প্রতিককালে আমরা দেখবো একই রকম ঘটনার প্রবণতা আমাদের দেশেও দেখা যাচ্ছে। কোনও কাঙ্ক্ষিত মানুষকে ফোনে অথবা ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যার খবর আমরা খুব বিস্তারিত (অনেক ক্ষেত্রে ছবিসহ) প্রকাশ করছি। এ ধরনের ঘটনা এখন বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

এদিকে আত্মহত্যার সংবাদটি যদি হয় কোনও সেলিব্রেটির, তাহলে সেটার প্রভাব আরও অনেক বড় হয়। সাম্প্রতিক অতীতে মার্কিন চলচ্চিত্র তারকা রবিন উইলিয়ামসের আত্মহত্যার পর আমেরিকায় আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। চীনা অভিনেত্রী রুয়ান লিংগিউ, জাপানি মিউজিশিয়ান ইউকিকো ওকদা, হিদেতো মাতসিমতো, কোরিয়ান অভিনেত্রী চই জিন শিল, সর্বোপরি মার্কিন অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর আত্মহত্যার খবর মিডিয়ায় বহুল প্রচারের পর আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল।

শুধু বাস্তবের মানুষই নয়, সাহিত্য বা সিনেমার কোনও ধরনের প্রবণতা অনেক পুরনো ইতিহাস পাওয়া যায়। গ্যাটের উপন্যাস 'দ্য সরোজ অব ইয়াং ওয়ার্থার'-এর মূল চরিত্র ওয়ার্থার এতটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল যে বহু মানুষ সেই চরিত্রের মতো করে পোশাক পরতেন। কিন্তু এটা তৈরি করেছিল একটা বড় বিপদ‌ও। প্রেমিকাকে পেতে ব্যর্থ হয়ে ওয়ার্থার শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে, যেটা অনেক মানুষকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।

শুরুতে বলেছিলাম, আত্মহত্যার কারণ স্রেফ একটি। হ্যাঁ, গবেষণায় দেখা গেছে, ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে মানসিক অসুস্থতা, বা মানসিক ভারসাম্যহীনতা থেকে। এই মানসিক ভারসাম্যহীনতা ঘটতে পারে জীবনের কোনও সংকট কিংবা মাদকাসক্তি থেকে।

বাকি আর যাই বলা হোক না কেন, কোনোটিই আত্মহত্যার কারণ নয়। এটা বোঝা যায় খুব সহজেই, একই রকম পরিস্থিতিতে কিংবা তার চাইতেও খারাপ পরিস্থিতিতে অসংখ্য মানুষ তো আত্মহত্যা করছে না। সুতরাং আত্মহত্যার কারণ হিসেবে নানা বিষয় যখন মিডিয়ায় আসে, আমরাও ব্যক্তিগতভাবে বলি, গভীরভাবে তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় তার মধ্যে আসলে সারবস্তু নেই। কিন্তু এভাবেই কারণ উল্লেখ করা, এবং সেই কারণকে আত্মহত্যার জন্য এক ধরনের যৌক্তিকতা দেওয়ার চেষ্টা করা ‌বহু মানুষকে একই পরিস্থিতিতে আত্মহত্যায় প্রলুব্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

আমাদের অনেকের অবাক লাগবে জেনে, মানসিক অসুস্থতাকে মূল কারণ হিসেবে দেখানো গেলে আত্মহত্যার অনুকরণ করার সম্ভাবনা কমে যায়। বিখ্যাত মিউজিক ব্যান্ড নির্ভানার সদস্য কার্ট কবিনের আত্মহত্যার পর আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়েনি। কারণ, সেই ঘটনার রিপোর্টে কবিনের মানসিক ভারসাম্যহীনতাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ করা হয়েছিল।

আশা করি আমরা বুঝতে পারছি, আমাদের প্রত্যেকের উচিত হবে নানা সেক্টরকে সমন্বয় করে আত্মহত্যার বিরুদ্ধে কাজ করে যাওয়া। তার মধ্যে আত্মহত্যার সংবাদ পরিবেশনে মিডিয়ার উচিত হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা মেনে চলা। আমরা নাগরিকরাও এই সংক্রান্ত আলোচনা এবং সামাজিক মিডিয়ায় তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে নীতিমালাগুলো মাথায় রাখবো।

আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া একটা ফৌজদারি অপরাধ আমাদের দেশে। সেটাকে দূরে সরিয়ে রেখেও যদি বলি, কোনও একটা আত্মহত্যার সঙ্গে আমাদের নাম যদি কোনোভাবে জড়িত হয়ে যায় সেটা অন্ততপক্ষে ভীষণ অনৈতিক। আত্মহত্যার খবর পরিবেশনে মিডিয়া এবং আমরা নিজেরাও যেভাবে অসতর্ক থাকি তাতে প্রতিটি আত্মহত্যার সম্ভাবনায় আমাদেরও অবদান থাকে, এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য। মানে আমরাও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করি। এই বাস্তবতা স্বীকার করা উচিত আমাদের, এবং সেই আলোকে আমাদের ভবিষ্যতে সতর্ক হওয়া উচিত। পেশাদার মিডিয়া এবং আমাদের বোঝা উচিত, আমরা যা করছি, যেভাবে করছি তার সঙ্গে একটা মানুষের বেঁচে থাকা বা মরে যাওয়া জড়িত।

লেখক: অ্যাকটিভিস্ট ও শিক্ষক

/এসএএস/এমওএফ/এমএম/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
শনিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ
গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ
তীব্র তাপে গলছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের কার্পেটিং
তীব্র তাপে গলছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের কার্পেটিং
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ