ত্রি-দশা পদার্থ
আমার অভ্যন্তরে সব আছে,
তুমি জীন দাও—আমি তাই দেবো
যা যা তুমি চাও; জল দেবো, প্রাণ দেবো, দেবো দেবতাদের চরণের পবিত্র যত ফুল ও ফল।
আমি কিছুদিনের সহর্ষ দেবো
আবার আমিই গ্রহণ করব আবেদন শেষে,
কিংবা আবেদন-পূর্ণতায়।
আমি জন্মাতে পারি অভিযোগ, পারি সমাধানের প্রতিষেধক।
আমার ত্বকে তোমাদের জীবনের অক্সিজেন।
আমি হই ইমারত, হতে পারি পর্বত, ধারণ করি সমুদ্রের জল ও বল।
অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি রূপান্তরিত।
নরমে সব হই, গরমে ভেঙে যাই বা কঠিন।
জন্মঘড়ি
জন্ম হয়েছিল বলে আমাকে জন্মাতে হয়নি।
জন্মঘড়ি বন্ধ হ'লে জন্ম হয় আয়ু-সংখ্যার।
ডাহুকসন্ধ্যায় আমি এসেছিলাম—একপৃথিবী আগামী নিয়ে।
আকাঙ্ক্ষার আলো জ্বেলে পূর্ণতায় ফুটিয়েছ বনজুঁই, আবার
বসন্তবেলায় কেউ দিয়েছে আমাজনের দাবানল। বেলুন-সন্ধ্যায়
কেক উৎসব ডেকে আনে ঘুঘু-ডাকা দুপুর।
হিজল-সকাল পায়ে মেখে ছুটে চলে গাঁয়ের ফুলপাখি;
জন্মের আনন্দে ঝুলে থাকে বাসরলতা ও সোনালু ফুল।
হে বিকেল, তুমি কাল এসো—তোমাকে সকালের রোদে দোয়েলের
শিস শোনাবো; ফড়িং নাচে ভুলে যাবে জন্মঘড়ি।
বয়স
তুমি কেবলই একটা সংখ্যা মাত্র। বিবর্তনের সাথে ধারণ করো রঙিন কতগুলো বিশেষ্য—বারো-তেরো,
ষোলো-সতেরো, চল্লিশ ও পঞ্চাশ।
শতক হলেও কেউই... অযুত স্পর্শ করতে পারে না।
সৃষ্টি থেকেই তুমি ঊর্ধ্বগামী; যার কোনো অবনমন নেই, আছে স্থিরতা।
প্রতিটি আবর্তে তুমি এক একটা রঙিন কেক। উদযাপনের বেলুনও তোমাকে নামাতে পারে না।
এক, দুই, তিনে তুমি নির্ভরশীল; ষোলো-সতেরো কিংবা বিশে চির দুর্বিনীত ও সহর্ষ একটা গোলাপ।
সত্তর আশিতে আবার নির্ভরশীলতার দিকে।
আমার সৎকাজের অবনি তোমাকে উপহার দেবো—
না থেমে, তুমি শুধু চলতে থাকো।