লিগভিত্তিতে খেলার কারণে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কোন সেমিফাইনাল নেই। তারপরেও আজ অলিখিতভাবে দুটি সেমিফাইনাল হতে যাচ্ছে। এর একটিতে লড়াই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-নেপাল। অন্যটিতে স্বাগতিক মালদ্বীপের মুখোমুখি সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশ ও ভারতকে ম্যাচ জিততেই হবে। অন্য দিকে নেপাল ও মালদ্বীপের ড্র করলেই চলবে। নিশ্চিতভাবে মালে জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টায় নেপালকে সেই সুযোগ দিতে চাইছে না বাংলাদেশ। ম্যাচ জিতেই ২০০৫ সালের পর কাঙ্ক্ষিত ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়াদের। ম্যাচটি দেখাবে টি স্পোর্টস।
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ খেলার রেকর্ড কম নয়। এক সাফেই সাতবার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে লাল-সবুজ দল জিতেছে চারবার। হেরেছে তিনটিতে। শঙ্কার বিষয় হলো ২০০৫ করাচি সাফের পর থেকে নেপালকে আর হারাতেই পারেনি বাংলাদেশ!
পাকিস্তানের ওই প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বে রোকনুজ্জামান কাঞ্চনের নৈপুণ্যে ২-০ গোলে জিতেছিল আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল। এরপর সাফে তিনবার দেখা হয়েছে দুই দলের। তিনবারই হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হয়েছে। ২০১১ সালের ফল ছিল ১-০, ২০১৩ সালে ২-০ এবং সবশেষ ২০১৮ সালে ২-০ ব্যবধানে হারে লাল-সবুজেরা।
বিশেষ করে ঢাকার সবশেষ সাফে তো গ্রুপ পর্বে ড্র হলেই বাংলাদেশ জায়গা করে নিতো সেমিফাইনালে। কিন্তু গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেলের ভুলে প্রথম গোল হজমের পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা। সেই হার জামালদের এখনও যন্ত্রণা দেয়।
তবে হতাশার পিঠে আশার আলোও আছে। সাম্প্রতিক সময়ে নেপালের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ঢাকায় গত বছর নভেম্বরে প্রথম প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয়টি গোলশূন্য ড্র করেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা।
আবার নেপালে তিন জাতি প্রতিযোগিতায় প্রথমটিতে গোল শূন্য ড্র হয়েছিল। ফাইনালে জেমি ডের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে হারতে হয়েছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।
তার পর অবশ্য দুই দেশেরই কোচ পদে বদল এসেছে। নেপালের দায়িত্বে কুয়েতের কোচ, বাংলাদেশের ডাগ আউটে স্প্যানিশ কোচ। তাতে দুই দলই আগের ম্যাচগুলোতে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। বিশেষ করে নেপালের দ্রুতগতির ফুটবল চোখে পড়েছে সবার। আবার বাংলাদেশের লড়াকু মেজাজের শৈলীও কম নজর কাড়েনি। ভারতের বিপক্ষে যেভাবে ১০ জন নিয়ে খেলেছে- তা ছিল দেখার মতোই।
নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ আজ একটু ভিন্ন ফর্মে খেলতে পারে। যেহেতু ম্যাচ জিততেই হবে। সেক্ষেত্রে স্ট্রাইকারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। আগের ম্যাচগুলোতে গোল না পেলেও এই ম্যাচে অন্তত সেই চেষ্টা বহুগুণ থাকতে হবে। খেলার ছকও বদলে যেতে পারে। মালদ্বীপ ম্যাচের পর ৫ দিন বিশ্রাম পেয়ে দল বেশ সতেজ। পূর্ণ শক্তি নিয়েই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে হিমালয়ের দেশটির বিপক্ষে। কোচ ব্রুজনও বেশ আশাবাদী এই দল নিয়ে। অন্তত এবার আর শূন্য হাতে ফিরতে চান না মালে থেকে!