অস্ত্র মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ চার জনের বিরুদ্ধে জাল টাকার মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির বিচার শুরু হলো।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়। এদিন আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একইসঙ্গে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন আসামিরা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
এর আগে গত ২২ আগস্ট দেশি জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গত বছরের ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নজমুল হক চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়িবা নূর।
চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে বহন ও বিপুল পরিমাণ অপরাধলব্ধ অর্থ দেশের বাইরে পাচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মামলায় চার্জশিটে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধভাবে টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চার জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করা হয়। গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি দায়ের করেন র্যাব-১ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সফিকুল ইসলাম।