জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন স্মরণে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।
কভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মেনে স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সোমবার (১৮ অক্টোবর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার(১৯ অক্টোবর) জানানো হয়, অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। পরে শেখ রাসেলের জীবন বিষয়ক একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি শহীদ শেখ রাসেলের জন্ম দিবসকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিশু-কিশোররা শেখ রাসেল সম্পর্কে আরও জানতে পারবে যা তাদেরকে মানবতাবাদী ও অধিকারবোধসম্পন্ন ভবিষ্যৎ নাগরিকে পরিণত করবে। শহীদ শেখ রাসেলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ পড়ার জন্য প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের প্রতি আহবান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে সপরিবারে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন ‘ঘাতকরা নিষ্পাপ ও কোমলমতি শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি।’ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের পালিয়ে থাকা খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি যে আহবান জানিয়েছেন তা তুলে ধরে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, শেখ রাসেল দিবস উদযাপনের মাধ্যমে শেখ রাসেলের স্মৃতি আজীবন সকলের মাঝে বেঁচে থাকবে যা শিশু-কিশোরদের নতুনভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
এছাড়া কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মেক্সিকোয় বাংলাদেশ দূতাবাসেও যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়।
সূত্র: বাসস