২০০৩ সালে শিশু আরাফাত হোসেন (৯) হত্যা মামলার আসামি নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামি জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নির্দোষ একটি শিশুকে হত্যা করা হলো, যার কোনও অপরাধ নেই, কিচ্ছু নেই। একটা বাচ্চাকে মেরে ফেললেন? মামলার মেরিটে আমরা সন্তোষ নই। তাছাড়া মামলায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আছে। শিশুটির বয়স মাত্র ৯ বছর। এই বাচ্চাতো অপরাধ করার গণ্ডির মধ্যেই যায়নি। পরে আদালত রিভিউ আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।’
সুধারাম উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর ৯ বছর বয়সী শিশু আরাফাত হোসেনকে ২০০৩ সালের ১৩ মার্চ তার বাড়ি থেকে খেলনা পিস্তল দেখিয়ে স্থানীয় কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত ২০০৮ সালে আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এরপর হাইকোর্টও সেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন।
পরে গত ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শিশু আরাফাত হোসেনকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামি মো. জাহাঙ্গীরের আপিল খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। তবে সে রায়টি পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত ১০ অক্টোবর আসামি রিভিউ আবেদন জানিয়েছিলেন।