গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিশেষজ্ঞ দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ থাকতেও মাহমুদউল্লাহ বল তুলে দিয়েছেন আফিফ হোসেনের হাতে। নিজেও করেছেন দুই ওভার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর এমন সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেছে অনেককেই! তবে সংবাদমাধ্যমকে মুশফিকুর রহিম জানিয়েছেন, বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশনের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তুলে শক্ত অবস্থানেই ছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে সাকিবের জোড়া আঘাতে ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আসালাঙ্কা ও রাজাপাকশে মিলে ফের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন ম্যাচের। তখন সাকিবকে ভীষণ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সাকিব কিংবা নাসুমের হাতে বল তুলে না দিয়ে অফস্পিনার আফিফ এবং নিজে বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এই সিদ্ধান্তই পরে কাল হয়ে দাঁড়ায়। দুজনের ৩ ওভারে লঙ্কানরা তুলে নেয় ৩৬ রান।
সাকিবকে বোলিংয়ে না আনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুশফিক বলেছেন, ‘এটা আসলে ম্যাচের অংশ। উইকেট খুব ভালো ছিল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা সেট ছিল। ইনিংসের শেষদিকেই তো গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো হয়, তখন আমরা চেয়েছিলাম সাকিবকে আনবো। কারণ শেষ দিকেই তো কঠিন সময়টা আসে। আর সাকিব চ্যাম্পিয়ন বোলার, সে এই সব মুহূর্তের চাপ সইতে পারে। তবে এই হারের জন্য সাকিবকে বোলিংয়ে না আনাটা কারণ নয়। এখানে আমরা সঠিক সময়ে সুযোগ মিস করেছি, এটাই কারণ।’
মুশফিক যে সুযোগ মিসের কথা বলেছেন, সেটা কিন্তু তৈরি করেছিলেন আফিফ। শ্রীলঙ্কা যখন জয় থেকে ৭৬ রানে পিছিয়ে, তখন সীমানায় রাজাপাকশের ক্যাচ ছাড়েন লিটন। সেই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর লঙ্কান এই ব্যাটারই ৫৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন! ওই সুযোগে বাংলাদেশ উইকেট পেলে ফল ভিন্ন হলেও হতে পারতো বলে মনে করেন মুশফিক।
তবে আফিফের জায়গায় সাকিবকে ব্যবহার করা যেত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘সাকিবের জায়গায় যে বোলিং করেছে, সে কিন্তু একটা সুযোগ তৈরি করেছে। সেটা কাজে লাগাতে পারলে পরে ডানহাতি ব্যাটসম্যান আসতো। তখন সাকিব আরও বেশি কার্যকর হতে পারতো। ফল দেখে এগুলো বিচার করাটা আমার কাছে তথাকথিত মনে হয়। আমার মনে হয় সঠিক সময়ে সেরা বোলাররা বোলিং করছে কিনা, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
তাই শেষের দিকে সাকিবের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ মুশফিক বলেছেন, ‘সাকিব একজন চ্যাম্পিয়ন বোলার, ডেথ ওভারে বোলিং করতে পারে, শেষ ওভারেও বোলিং করতে পারে। যদি এমন হতো যে শেষ ওভারে প্রয়োজন, তখন সে-ই হতো আমাদের বোলার।’