আমাদের চেনাজানা বাস্তবতায় আমরা জনসংখ্যা বাড়ার কথাই শুনে থাকি। তবে কোন দেশের জনসংখ্যা যে কমেও যেতে পারে, তার নিদর্শন দেখা গেছে জাপানে। গত পাঁচ বছরে জাপানের জনসংখ্যা দশ লাখেরও বেশি কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান। এতে বলা হচ্ছে জাপানে জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে ১৯২০ থেকে।
সরকারি এই পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়, এই ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার প্রভাব পড়ছে পুরো জাতির ওপর। কেননা, এতে বাড়ছে বৃদ্ধ মানুষের হার, কমে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২১০০ এর মধ্যে জাপানের জনসংখ্যা আরও ৮৩ মিলিয়ন কমে যাবে এবং নাগরিকদের ৩৫ শতাংশেরই বয়স হবে ৬৫।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, দেশের অর্থনীতিতে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রভাব ব্যপকভাবে পড়বে।
তবে এই বিপর্যয় সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে। নারীপ্রতি সন্তান জন্মদানের হার ১ দশমিক ৪১ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ১ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয় ২০১২ সালে।এই পরিকল্পনার অধীনে জাপানের জনসংখ্যা ১০০ মিলিয়নে ধরে রাখার জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বাড়াতে জন্মহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়।
তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই পরিকল্পনা তেমন কার্যকর না-ও হতে পারে। ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের প্রফেসর মাইকেল কুচেক বলেন, ‘এই পরিকল্পনা কাজ করবে না। কেননা, জনসংখ্যা ১০০ মিলিয়নে ধরে রাখতে হলে নারীপ্রতি সন্তানের হার ১ দশমিক ৮ হলে চলবে না, বরং ২ দশমিক ১ হতে হবে।’
প্রফেসর কুচেকের মতে, জাপানে নারীরা একটু বেশি বয়সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন। আবার দেশটিতে বিবাহ বহির্ভূত সন্তান জন্মানোর হার মাত্র ২ শতাংশ।সূত্র গার্ডিয়ান।
/ইউআর/বিএ/