আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা নির্বাচনে দাঁড়াবে তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। যেই বিদ্রোহী হোক না কেন তাকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
বুধবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন হানিফ। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২২ মার্চ প্রথম দফা ইউপি নির্বাচনে দুই শতাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় ৭৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সবগুলো ধাপেই বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হানিফ। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনেও যারা দল মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন তাদেরও তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। ৩১ মার্চ ৬৫৭টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ মার্চ।
হানিফ বলেন, আমরা আশা করছি আজকের পর আর কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না।
ইউপি নির্বাচনের কারণে আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনের তারিখ ২৮ মার্চ থেকে পিছিয়ে পরবর্তী কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে বলেও জানান হানিফ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পরবর্তী সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
/পিএইচসি/এফএস/