বিচার না পেলে বুধবার অবরোধের ডাক কাদের মির্জার

কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বুধবার (১৬ জুন) কোম্পানীগঞ্জে অবরোধ ঘোষণা করেছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশার ওপর হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ তুলে তিনি বিচার দাবিতে অবরোধের ঘোষণা দেন। দাবি মেনে নেওয়া না হলে বুধবার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন কাদের মির্জা। তবে দোকানপাট ও অন্যান্য পরিবহন কর্মসূচির বাইরে থাকবে বলে জানান তিনি।

হত্যার পর লাশ গুমের আশঙ্কায় কাদের মির্জার জিডি


সোমবার (১৪ জুন) সকাল ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে তিনি কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এটি সরাসরি দেখানো হয়। এসময় প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবরোধের নামে ২০০ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেন কাদের মির্জা।

লাইভে প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা গতকালকে অবরোধের নামে ২০০ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে এবং লুটপাট চালিয়েছে। এতে পুলিশের কর্মকর্তাদের সহায়তা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

কোম্পানীগঞ্জে সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ, চার পুলিশ আহত

কাদের মির্জা বলেন, ওরা যা করেছে তা কোনও অবরোধ নয়, এটি ডাকাতি। এ সময় তিনি অটোরিকশাচালকদের ওপর হামলকারীদের গ্রেফতার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১২ জুন) দুপুর ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ডাক দেন। আওয়ামী লীগ নেতা বাদলের ওপর কাদের মির্জার অনুসারীরা হামলা চালিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তিনি অবরোধের ডাক দেন।

কোম্পানীগঞ্জে বাদলের ১৬৩ অনুসারীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

এর আগে, শনিবার সকাল ৯টায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। অভিযোগ রয়েছে যাত্রাপথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছালে, বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জার ৪০ থেকে ৫০ জন অনুসারী বাদলের গাড়ির মুখোমুখি হয়। এ সময় কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল, ডাকাত মাসুদ, শিহাব, সজল ও ওয়াসিমসহ ৪০ থেকে ৫০জন মিজানুর রহমান বাদলের গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়।

আজ হয়তো মেয়র হিসেবে আমার শেষ কর্মদিবস: কাদের মির্জা

উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মঞ্জু অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা বাদলের গাড়ির গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-মাথা ফাটায়, পা ও বুকের হাড় ভেঙে দেয় এবং কানে গুরুতর আঘাত করে। পরে এ ঘটনায় শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আহবান করা হয়।

তবে এ বিষয়ে কাদের মির্জার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া বার্তায় বাদলের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত নন বলে দাবি করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিও দাবি করেন তিনি।