X
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
২৬ বৈশাখ ১৪৩১

খলিল, খোরশেদ, নয়নরা পারলে বাকিরা পারবেন না কেন?

আতিক হাসান শুভ
১৭ মার্চ ২০২৪, ২১:০০আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪, ২১:১২

রাজধানীজুড়ে যেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে, সেখানে রমজানের শুরু থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস মাত্র ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। প্রথম রমজানেই শুরু হয় এই দামে মাংস বিক্রি। শুরুর দিনই ব্যাপক সাড়া পান এই বিক্রেতা। এখন প্রতিনিয়ত বিক্রির রেকর্ড ভাঙছে। ক্রেতাদের এতই উপচে পড়া ভিড় যে কোনও কোনও দিন কোটি টাকারও বেশি বিক্রি ছাড়ায়। অল্প দামে মাংস কিনতে পেরে ক্রেতা যেমন খুশি, তেমনি অল্প লাভে বেশি পরিমাণে মাংস বিক্রি করতে পেরে খুশি বিক্রেতাও।

কম দামে মাংস বিক্রির এমন উদ্যোগের কারণে খলিলুর রহমানের জীবননাশের হুমকিও এসেছিল। সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি নিজের মনোবল ধরে রেখে কম দামে মাংস বিক্রি করছেন। সরেজমিন উত্তর শাহজাহানপুর খলিল গোস্ত বিতানে দেখা গেছে, সকাল থেকে অসংখ্য মানুষ সারি করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন মাংস কিনতে। তবে মাংস পেতে তাদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কারণ একের পর এক গরু জবাই হচ্ছে, আর অতি দ্রুত মাংস বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সবাই কমবেশি দুই থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত কিনছেন।

খলিলুর রহমানের দোকানের সামনে ক্রেতাদের ভিড় (ছবি: ফোকাস বাংলা)

কম দামে গরুর মাংস বিক্রির বিষয়ে খলিলুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রোজায় মানুষ যাতে গরুর মাংস খেতে পারে, সে জন্য এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। একজন ক্রেতা একবারে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি মাংস কিনতে পারেন। লাইনে দাঁড়ানো সবাই যেন মাংস নিতে পারেন সেই চেষ্টা করছি। ছাড় দিয়ে মাংস তখনই বিক্রি সম্ভব হয়, যখন বেচাকেনা বেশি হয়। কারণ ছাড়ে মাংস বিক্রি করলে লাভ কম। তবে রমজানে মূল্য ছাড় দেওয়ার পর মাংস কিনতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, ফলে বেড়েছে বেচাবিক্রিও। বাজারের তুলনায় কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করেছি। এজন্য ক্রেতাদের ভিড়।

খলিলের গোস্ত বিতান থেকে কম দামে গরুর মাংস কেনার জন্য সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জামাল উদ্দিন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, লোকমুখে খলিল গোস্ত বিতানের কথা অনেক শুনেছি। তাই আজ সাতারকুল থেকে এসেছি গোস্ত কিনতে। আজকেই প্রথম এসেছি। পাঁচ কেজি মাংস নেবো। তাতে অন্তত হাজার খানেক টাকা সেভ হবে।

মাংসের বিষয়ে এই ক্রেতা বলেন, একটা কথা সত্য, তা হচ্ছে অন্যদের মাংস দেখে বুঝতে পেরেছি এখানে কিছুটা হলেও চর্বি, হাড়, ফেপসা (ফুলসা) এগুলো বেশি। তবে দাম কম, সে অনুযায়ী মাংসের মান তুলনামূলক ভালো।

দিনে কোটি টাকার মাংসও বিক্রি হচ্ছে খলিলুর রহমানের দোকানে (ছবি: ফোকাস বাংলা)

খলিল গোস্ত বিতান থেকে আগেও মাংস কিনেছেন সিনথিয়া ইসলাম। লিংক রোড থেকে সকালে এসে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করে তারপর মাংস কিনতে পেরেছেন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি এখান থেকে আগেও মাংস কিনেছি। মাংসের মান বেশ ভালোই ছিল। আজও তিন কেজি মাংস কিনেছি। তবে আজকের মাংস পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কারণ অনেক ভিড় ছিল। খলিলুর রহমানের মাংসের দোকানে আগেও ভিড় দেখেছি। তবে এতটা ভিড় আগে দেখিনি।

খলিলুর রহমানের দেখাদেখি রাজধানীতে এখন আরও কয়েকজন কম দামে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে একজন মালিবাগের খোরশেদ। তিনি প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করছে। অল্প দামে মাংস বিক্রি করেও বেশ ভালো লাভ করছেন বলে জানান তিনি।

বাংলা ট্রিবিউনকে খোরশেদ বলেন, লাভ না হলে তো আর চলা যায় না। কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। আগে যেখানে দুইটা গরু জবাই হতো এখন সেখানে ১০টা জবাই হচ্ছে। সামান্য লাভ হলেও বেচাকেনা যখন বেশি হয় তখন কর্মচারী বা সব খরচ বাদ দিয়ে পোষায়।

রাজধানীর বিভিন্ন জয়গা থেকে খলিলের দোকানে মাংস নিতে আসছেন ক্রেতারা (ছবি: প্রতিবেদক)

পুরান ঢাকার কসাইটুলি বাংলা স্কুলের সামনে (আরমানিটোলা) নয়ন আহমেদ নামের আরেকজন গোস্ত বিক্রেতা কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করেন। সেখানেও ক্রেতাদের বেশ ভালোই ভিড় লক্ষ করা গেছে। কম দামে গরুর মাংস বিক্রির বিষয়ে নয়ন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি গরুর মিক্স মাংস ৫৮০ টাকা দরে বিক্রি করি। ঝোলানো গরুর মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করি। গরুর মাংসে কলিজা, চর্বি, ফেপসা, হাড় মোটামুটি সব কিছু মিক্স। অন্যদিকে ঝোলানো গরুর মাংস ক্রেতারা দেখেশুনে তাদের ইচ্ছেমতো নিতে পারবেন। আমার পাশের গলিতেই ৭৫০ টাকা করে যে গরুর মাংস বিক্রি করছে, আমি সেটা ৬৫০ টাকা দিয়ে বিক্রি করছি। রমজান মাসে সবাই যেন গরুর মাংস খেতে পারে এটাই আমার উদ্দেশ্য। এই মাসে আমার লাভ না হলেও চলবে। তবু আমি চাই মানুষ যেন অল্প হলেও গরুর মাংস কিনতে পারেন।

নয়নের দোকান থেকে মাংস কিনতে আসা মো. আব্দুস শহীদ বলেন, সব জায়গায়ই কলিজা, চর্বি, হাড় এগুলা মেশানো থাকে মাংসে। ৮০০ টাকা দিয়ে ১ কেজি গরুর মাংস কিনলে সেখানেও দুই-আড়াইশ’ গ্রাম চর্বি আর হাড় থাকে। এখানে ৫৮০ টাকা দিয়ে গরুর মাংস কিনে ৩০০-৩৫০ গ্রামের মতো চর্বি-হাড় পেয়েছি। তাহলে সেই তুলনাই তো এটা অনেক ভালো। তাছাড়া এখানকার মাংসের মানও ভালো। প্রতিদিনই কয়েকটা করে গরু জবাই হচ্ছে। পুরান বা আগের মাংস দেওয়ার সুযোগ নেই। সবাই দেখেশুনেই কিনছেন।

রাজধানীতে কম দামে গরুর মাংস বিক্রির কারণে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন খলিলুর রহমান, খোরশেদ ও নয়ন আহমেদ। তাদের দোকানে এতটা ভিড় হওয়ার কারণ ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের বর্তমান দাম। রাজধানীর নাজিরাবাজার, কলতাবাজার, মগবাজার, পলাশী বাজার, হাতিরপুল বাজার ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ফলে কম দামে গরুর মাংস পাওয়ায় ক্রেতারা এদের দোকানে ভিড় করছেন।

৬০০ টাকা কেজির মাংসে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়ে অভিযোগ অন্য ব্যবসায়ীদের (ছবি: ফোকাস বাংলা)

একাধিক ক্রেতা প্রশ্ন রাখেন, উত্তর শাহজাহানপুরের খলিলুর রহমান, মালিবাগের খোরশেদ, কসাইটুলির নয়ন আহমেদ যদি অল্প দামে গরুর মাংস বিক্রি করে লাভবান হতে পারে, তাহলে অন্যরা কেন বেশি দরে বিক্রি করছেন? তাহলে তো চাইলেই কম দামে গরুর গোস্ত বিক্রি সম্ভব। সরকার যদি চায় তাহলে সবাই একদামে গরুর মাংস বিক্রি করতে বাধ্য হবে বলে মনে করেন তারা।

গরুর মাংস বিক্রি এক প্ল্যাটফর্মে আনা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান বলেন, সবাই কেন কম দামে বিক্রি করছে না এটা বাকি সবাই জানে। এমন তো না যে খলিল, নয়ন বা খোরশেদের নিজস্ব ফার্ম আছে বা জমিদারি আছে। আর বাকিরা নিজেদের বাড়িঘর বিক্রি করে গরু কিনছে। সবাই একই সোর্স থেকে গরু কিনছে। তাহলে কেন বাকি সবাই কম দামে বিক্রি করছে না এটা আপনারা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে নিউজ করেন। দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয় ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

ভোক্তার ডিজি আরও বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবার বিশ্ব ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে খলিলকে ব্যবসায় উত্তম চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত করেছে। আজ নয়নকে ফুলের মালা দিয়ে এসেছি। আমি যাওয়ায় সে আরও ১০ টাকা কমিয়ে এখন ৫৭০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করছে। কাল যাবো মিরপুরে। সেখানে উজ্জ্বল নামের এক বিক্রেতাও কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে। তাকেও আমরা ফুল দেবো। এভাবে যারা ন্যায্য মূল্যে সাধারণ জনগণের সুবিধা দিয়ে পণ্য বিক্রি করবে আমরা তাদেরও পুরস্কৃত করবো।

কম দামে মাংস বিক্রি করার জন্য খলিলুর রহমানকে পুরস্কৃত করেছে ভোক্তা অধিদফতর (ছবি: প্রতিবেদক)

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৯টি দেশি কৃষিপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। এর মধ্যে গরুর মাংসও রয়েছে। গরুর মাংসের পাইকারি দর ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ৬৬৪ দশমিক ৩৯ টাকা এবং ছাগলের মাংসের ক্ষেত্রে পাইকারি মূল্য ৯৯২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১০০৩ টাকা ৫৬ পয়সায় বিক্রি করতে বলা হয়েছে। তবে কোথাও এই দর কার্যকর হতে দেখা যায়নি। 

গরুর মাংস কেন ৬০০ টাকা বা সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করা হচ্ছে না এই প্রশ্ন রাজধানীর বেশ কয়েকজন মাংসের বিক্রেতাদের কাছে করা হয়। জবাবে কসাইটুলির মাহফুজ নামের এক গোস্ত বিক্রেতা বলেন, খলিল-নয়ন ওরা মানুষের সঙ্গে ভণ্ডামি করছে। ওরা কেজিতে চারশ’ গ্রামের বেশি হাড় চর্বি এসব দেয়। গরুর মধ্যে যা থাকে ওরা সিস্টেমে সব কুচি করে কেটে দিয়ে দেয়। এমনকি গরুর পা পর্যন্ত কেটে দেয়। এমন এমন হাড় দেয়, যেসব আমরা ফেলে দেই। অথচ মানুষ বোকার মতো কম দামে মাংসসহ সেসব কিনে নেয়। দেখা যায় সেখানে মাত্র আধা কেজির মতো মাংস থাকে।

এই বিক্রেতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরান ঢাকার কলতাবাজারের কসাই মোখলেসুর রহমান বলেন, ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রি সম্ভব নয়। ওরা কীভাবে বিক্রি করে তা জানি না। আমরা যেই দামে গরু কিনি, কেজিতে ৭০০ টাকা বিক্রি করে ২০ টাকা লাভ করতে কষ্ট হয়ে যায়। তবে মানুষ ঠকানোর একটা পলিসি আমাদেরও জানা আছে। সেটা হচ্ছে সবকিছু একসঙ্গে করে কোরবানির গরুর মাংসের মতো স্তূপ করে কেজি দরে বিক্রি করা। সেখানে আমরা গরুর যেসব অংশ ফেলে দেই সেগুলোও মিশিয়ে দেওয়া যাবে। আমার মনে হয় এই পলিসি নিলে মানুষও খুশি হবে। কিন্তু আসল অর্থে তা না। যারা অরিজিনাল গরুর মাংস চায় তারা একটু বেশি দামেই মাংস কেনে। সেখানে সর্বোচ্চ এক দেড়শ’ গ্রাম চর্বি থাকে। বাকি সব মাংস। হাড় মেশানো হয় না। 

আরও পড়ুন-

‘একটা মুরগি কেনার মুরোদ নাই, শার্ট-প্যান্ট পরে ভাব দেখাইতে আইছে’

স্বল্পমূল্যের কুলভ্যানে বেশি আগ্রহ গরু ও মুরগির মাংসে

কেউ পাচ্ছেন নিয়মের বেশি, কারও হাত শূন্য

কেন বাড়ছে দেশি-বিদেশি সব ফলের দাম?

৫০০ টাকার ওপরে কোনও খেজুরই আমদানি হয় না, বাজারে ২ হাজার

পাঁচ বছরে খেজুরের দাম বেড়েছে সাতগুণ

ইসবগুল কেন কেজিতে বাড়লো ৮০০ টাকা

১৪৫০ টাকার এলাচ ৩১০০ টাকায় বিক্রি

/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
কদমতলীতে গলায় ফাঁস লেগে দশ বছরের শিশুর মৃত্যু
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
তাপপ্রবাহে বিক্রি হচ্ছিল ‘নকল স্যালাইন’, এ রকম ঘটনার তথ্য চাইলেন হারুন
সর্বশেষ খবর
অবন্তিকার আত্মহত্যা: জবি সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্ত
অবন্তিকার আত্মহত্যা: জবি সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম জামিনে মুক্ত
নাফনদ জেটিঘাট জনশূন্য, মাছ ধরা বন্ধ
মিয়ানমারে সংঘাতনাফনদ জেটিঘাট জনশূন্য, মাছ ধরা বন্ধ
টিভিতে আজকের খেলা (৯ মে, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৯ মে, ২০২৪)
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
মঙ্গোলিয়ার দাবাড়ুকে হারিয়ে ফাহাদের মুখে হাসি
সর্বাধিক পঠিত
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর ইস্যুতে ন্যাটোকে রাশিয়ার সতর্কতা
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
এবার কি ফুটপাত দখলমুক্ত হবে?
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা