বাংলাদেশ ব্যাংকের রফতানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) পরিমাণ ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬ বিলিয়ন ডলার করা হয়েছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের মাঝে রফতানি খাতের ‘খরা’ কাটাতে এই তহবিলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২৯ জুন) জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর এই কঠিন পরিস্থিতিতে চাহিদা বাড়ায় ইডিএফের পরিমাণ সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে।’
এর আগে গত মার্চ মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৫ ডলার করা হয়। আর গত বছরের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ওই বছরের ৭ এপ্রিল রফতানি আয়ের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখতে রফতানি উন্নয়ন তহবিলের পরিমাণ সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার করা হয়। সেই সঙ্গে রফতানিকারকদের জন্যে এই তহবিল থেকে ঋণের সুদের হার কমিয়ে ২ শতাংশে বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তার আগে ইডিএফ থেকে কোনও রফতানিকারক ঋণ নিলে লাইবর (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অপার রেট) এর সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হতো। সেক্ষেত্রে লাইবর রেট প্রতিদিনই ওঠানামা করায় সুদের হার ৩ থেকে ৪ শতাংশের মতো পড়ে যেতো।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর কোভিড-১৯ মহামারির মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিকারকদের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে ইডিএফ ঋণের সুদের হার ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে ইডিএফ গঠন করা হয়।
ব্যাক টু ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ, নিট পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ-সহ অন্যান্য রফতানিকারক সংগঠনের সদস্যরা ইডিএফ থেকে ঋণ পেয়ে থাকেন।