X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ জুন ২০১৯, ২০:৩০আপডেট : ১৯ জুন ২০১৯, ২৩:২৬

নেপালের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র (ছবি সংগৃহীত)

৪২ হাজার মেগাওয়াটের সক্ষমতা থাকলেও মাত্র এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াট জল বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে নেপাল। আর বাকি ৪০ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে অন্য দেশের বিনিয়োগ চাইছে দেশটি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ চাইলেই এখাতে বিনিয়োগ করতে পারে।

আজ বুধবার (১৯ জুন) কক্সবাজারে বিদ্যুৎ আমদানি ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ উদ্যোগে গঠিত কারিগরি কমিটির বৈঠকে এই তথ্য জানিয়েছে নেপাল।

এ বছরের শুরুর দিকে নেপালে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপাল দুটি কমিটি গঠন করে। এর একটিকে উৎপাদন ও অন্যটিকে সঞ্চালন ব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়। জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটিতে দুই দেশের বিদ্যুৎ সচিব নেতৃত্ব দেন। সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকের বিষয় পরে দুই দেশের সরকারের শীর্ষপর্যায়কে অবহিত করা হলে তারা এ নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজারেই দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে যোগ দেওয়া বাংলাদেশ অংশের এক কর্মকর্তা জানান, নেপালের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, তাদের দেশের বিদ্যমান নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের বিনিয়োগে কোনও বাধা নেই। ইতোমধ্যে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ নেপালের জল বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। কেউ কেউ কেন্দ্রও নির্মাণ করছে। সুতরাং বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি খাতও নেপালে বিনিয়োগ করতে পারে।

নেপালের জল বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনায় দেখা গেছে, তিন ধাপে ১০ বছরে নেপাল ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। তিন বছরে দেশটি দুই হাজার মেগাওয়াট, পাঁচ বছরে আরও তিন হাজার মেগাওয়াট এবং ১০ বছরে মোট ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। সক্ষমতার বাকি ২৭ হাজার মেগাওয়াট জল বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেপাল অন্যদেশের বিনিয়োগ নেবে। এক্ষেত্রে নেপাল এবং ওই দেশকে একটি লাভজনক সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। কেন্দ্রটির সব বিদ্যুৎ অন্যকোনও দেশ কিনে নিলে নেপাল সেখান থেকে অর্থ আয় করতে পারে। এক্ষেত্রে নেপাল চাইলে কোনও বিনিয়োগ ছাড়াও মুনাফা করতে পারে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, এক ইউনিট জল বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ এক টাকার কম। যার কারণে এই খাতে বিনিয়োগ করে পরে বিদ্যুৎ আমদানি করলে তা লাভজনকই হবে। বাংলাদেশে ডিজেলে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২২ টাকা, ফার্নেস ওয়েলে সমপরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ টাকা বা তার কাছাকাছি, গ্যাসে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে তিন থেকে চার টাকা খরচ হয়।

কারিগরি কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা আজ বৈঠক করেছি। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল সচিব কমিটির বৈঠকে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ আগস্ট বিদ্যুৎ খাতের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো বিনিয়োগ ও বিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়নসহ বিদ্যুৎ খাতে উভয়পক্ষে সহযোগিতা করা।

 

/এসএনএস/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবে তিতাস
অবৈধ ব্যবহারকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাবে তিতাস
ছক্কায় মুশফিকের ‘আউট’ নিয়ে যা বললেন রনি
ছক্কায় মুশফিকের ‘আউট’ নিয়ে যা বললেন রনি
ফাইনালে ১১ মিনিট লড়াই, জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ
ফাইনালে ১১ মিনিট লড়াই, জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের
বন ডাকাতদের জন্যই পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়: জিএম কাদের
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা