নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও ওয়ানডে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড আসেননি বাংলাদেশে। তাদের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পরিচিতি বেশিরভাগ মুখই নেই এবারের স্কোয়াডে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছে ক্যারিবিয়ান বোর্ড। তবে দলটির টেস্ট অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট সেটি মানতে নারাজ।
তার মতে, এই দলের পক্ষেই লড়াই করা সম্ভব। হ্যাঁ, কয়েকজনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তবে তাদের ওপর আস্থা রাখছেন ব্র্যাথওয়েট। আজ (বুধবার) জুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। সেখানেই ক্যারিবিয়ানদের টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘নেতা হিসেবে আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাই। ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে আমার কাজ শুরুটা ভালো করা, যেন ইনিংসের ভিত্তিটা গড়ে ওঠে। তরুণরা যেন চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারে। আমি মোটেও আমাদের দলটাকে দ্বিতীয় সারির দল হিসেবে দেখছি না।’
মূল দল ছাড়া অনভিজ্ঞ দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ব্র্যাথওয়েট এই দলের ওপর আস্থা রাখছেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের দলটা বেশ ভালো। অল্প কিছু খেলোয়াড় আছে যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেনি। এই দলটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে সক্ষম। আশা করি, পাওয়া সুযোগটি তরুণরা ভালোভাবেই কাজে লাগাবে।’
রবিবার থেকে চার দেয়ালের মাঝে ‘বন্দী’ হয়ে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা। চার দিন পর অবশেষে মুক্ত হতে যাচ্ছেন তারা। বৃহস্পতিবার সফরকারীদের কোয়ারেন্টিনের প্রথম পর্ব শেষ হচ্ছে। এদিন সকালে মিরপুরে অনুশীলনে করার সুযোগ পাবেন ওয়ানডে দলের ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে দুপুরে অনুশীলন করবেন টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা। টানা চার দিন কোয়ারেন্টিনে থেকে হাঁপিয়ে উঠেছেন ব্র্যাথওয়েটরা। এবার তারা পাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ।
বৃহস্পতিবার কোয়ারেন্টিনের প্রথম পর্ব শেষ হলেও এখনই সবার সঙ্গে মিশতে পারবে না ক্যারিবিয়ানরা। আপাতত হোটের রুম থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। দলের বাইরের কারও সংস্পর্শে আসতে আরও চার দিন অপেক্ষা করতে হবে। শুক্রবার কিংবা শনিবার দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে যাবে সফরকারীরা।
কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার আনন্দের কথা জানিয়েছেন ব্র্যাথওয়েট, ‘রুমে আটকে থাকাটা মোটেও সহজ ছিল না। আমি বাইরে বের হতে পারবো এজন্য খুব উচ্ছ্বসিত। মাঠে গিয়ে কিছু বল খেলবো, ক্যাচ অনুশীলন করবো। মুখিয়ে আছি কালকের (বৃহস্পতিবার) দিনটির জন্য।’
যদিও প্রথম দিনের অনুশীলনে খুব একটা জোর দেবেন না বলে জানিয়েছেন ব্র্যাথওয়েট, ‘প্রথম দিন আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি জড়তা কাটাতে ফিটনেসের কাজ করতে হবে। শুরুতেই জোর দেওয়া ঠিক হবে না। আমার মতে, শুরুতে খুব স্বাভাবিক সেশন হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন থেকে ধীরে ধীরে জোর বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।’