X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ

মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০

বিতর্ক করতে আমরা পছন্দ করি। কিন্তু সব কিছু নিয়েই কি আমরা মুখরোচক আলোচনা করবো, নাকি বাস্তবতার আলোকে আলোচনা করবো ও সমাধান করার প্রস্তাব করবো— সেটা চিন্তার বিষয়। সব কিছু আইনে থাকবে, এমন না। আইনের কতগুলো পরিভাষা রয়েছে। এই পরিভাষাগুলো অনুধাবন করতে না পারলে আমরা বিতর্ক করেই যাবো। 

এই বিতর্কের মাঝে প্রদর্শিত হবে শক্তি, ক্ষমতা বা এর অপব্যবহার কিংবা অতি উৎসাহে আইনের ব্যবহার। এর ফলে ন্যায্যতার ঘাটতি তৈরি হয়, সরকার বঞ্চিত হয় রাজস্ব থেকে, নাগরিক বঞ্চিত হয় ন্যায় বিচার থেকে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং আইনের ব্যাখ্যা যেন শেষই হচ্ছে না। ভাবনার বিষয় হলো, আমরা যে বিষয়টি নিয়ে বারবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছি, তা কিন্তু মোটেও ছোটো-খাটো কোনও বিষয় নয়। একদিকে সরকারের হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের বিষয়, অন্যদিকে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব। দুটিই গুরুত্বের দিক দিয়ে কম নয়। আমরা কয়েক বছর আগে দেখেছি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভ্যাট আরোপের কিছুদিন পরেই তা শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে এনবিআর প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এজন্য দেশব্যাপী একটা সাড়া জাগানো ‘ভ্যাট আন্দোলন’ শিক্ষার্থীরা করতে পেরেছিল এবং সফলও হয়েছিল।

বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল আলোচনার বিষয় হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর। যে ‘কর’ আয়ের ওপর নির্ভর করে, তাও নিট আয়ের ওপর। ‘আয়কর আইন ২০২৩’ এর ধারা ১৩ এর দফা ‘ক’ থেকে ‘চ’ পর্যন্ত আয়ের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। আয়ের সংজ্ঞা থেকে ধারা ১৩ এর দফা ‘ক’-এর সংজ্ঞায় বলা আছে– ‘আয়ের অন্তর্ভুক্ত হইবে এই আইনের কোনও বিধানের অধীন কর-আরোপযোগ্য যে কোনও উৎস হতে উদ্ভূত আয়, প্রাপ্তি, মুনাফা বা অর্জন।’

এখানে আয়ের উৎস হবে ‘কর-আরোপযোগ্য যে কোনও উৎস’। আমরা দেখবো আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের খাতগুলো কর-আরোপযোগ্য খাত কিনা?

ট্যাক্স বিতর্কের সূচনা হয় ২০০৭ থেকে। এনবিআর ২০০৭ সালের ২৮ জুন তারিখে ও ২০১০ সালে ১ জলাই পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স প্রদান করার নির্দেশনা প্রদান করে। এরপর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৪৬টি রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এনবিআর এ দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ বলে রায় দেয়। 

পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এনবিআর এর পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষ ৪৫টি লিভ টু আপিল করে। শুনানি শেষে ২০২১ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল করার অনুমতি প্রদান করে। পরে আপিল বিভাগ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিট নিষ্পত্তি করে এনবিআর-এর পক্ষে রায় দেন। ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রজ্ঞাপন দু’টির কার্যকারিতা বহাল থেকে যায়। রায়ের পর্যবেক্ষণ কী ছিল, তা চূড়ান্ত রায় না পওয়া পর্যন্ত বলা কঠিন।

এখন আমরা দেখি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোন আইনে গঠিত এবং আইনে দৃষ্টিতে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য হওয়া দরকার। দেশের নাগরিকদের উচ্চশিক্ষা সুলভ করার লক্ষ্যে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২’ (১৯৯২ সালে ৩৪ নং আইন) প্রণয়ন করা হয়েছিল। সময়ে চাহিদা ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৩৫ নং আইন) পূর্বের আইন সংশোধ করে প্রণয়ন করে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ৩ ধারার (দফা ১ থেকে দফা ৬) এ বিস্তারিত বলা হয়েছে।

দফা ২ এ বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন সরকারের নিকট হইতে সাময়িক অনুমতি বা ক্ষেত্রমত, সনদপত্র গ্রহণ ব্যতীত, বাংলাদেশের কোনও স্থানে কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বা পরিচালনা করা যাইবে না, বা বাংলাদেশে কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা বা কোনও ডিগ্রি ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট প্রদান করা যাইবে না।’ অর্থাৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের অনুমোদন আবশ্যক।

এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনার জন্য আইনে একটি ট্রাস্টিজ বোর্ড থাকার বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ধারা ১৪ এর ১ উপধারা ‘ক’ দফায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। একই আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন পরিচালনার জন্য একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থাকিবে এবং উক্ত বোর্ডের সদস্যগণের মধ্য হতে একজন সদস্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি নির্বাচিত হইবেন।’ অর্থাৎ আইনে এই অংশের ভাবার্থ হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান।

অর্থায়ন বিষয়েও আইনে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর ৪১ ধারার ১ হতে ৬ উপ-ধারায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের উৎস সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে।

যেমন—

১. কোনও জনকল্যাণকামী ব্যক্তি; ব্যক্তিগোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাস্ট বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিঃশর্তভাবে প্রদত্ত দান;

২. কোনও জনকল্যাণকামী ব্যক্তি, ব্যক্তিগোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাস্ট, প্রতিষ্ঠান বা সরকার হইতে প্রাপ্ত ঋণ;

৩. কোন জনকল্যাণকামী ব্যক্তি, ব্যক্তিগোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাস্ট, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

৪. শিক্ষার্থীর ফি;

৫. বিভিন্ন খাতে সৃষ্ট সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়;

৬. সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য উৎস।

এখানে স্পষ্ট একটা উল্লেখ করতে হয় যে, সেটি হলো আয়ের সংজ্ঞা বলতে বুঝতে হবে করারোপযোগ্য আয়। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের খাতগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যে এই খাতে কোনোটিই করারোপযোগ্য আয় নয়।

এছাড়া আইনের ৪৪ ধারায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাধারণ তহবিল থাকার কথা হয়েছে। ৪৪ ধারার ১ থেকে ৭ উপধারায় এই সাধারণ তহবিল গ্রহণ ব্যয়ের বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে।

এই ৪৪ ধারার ৭ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিলে অর্থ উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় ব্যতীত অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাইবে না।’ আইনের এই ধারার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলেই নির্ধারিত ও অনুমোদিত এবং একান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন ব্যতীত অন্য কোনও খাতে তহবিল ব্যয় করতে পারবে না।

এখন দেখা যাক, আয়কর আইনে ট্যাক্স অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বলতে কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আয়কর আইন ২০২৩ এর ধারা ২ এর উপধারা ৪৩ এ ‘দাতব্য উদ্দেশ্যে’ এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। উপধারা ৪৩ এর দফা ক-তে বলা হয়েছে ‘দারিদ্রের জন্য ত্রাণ, শিক্ষা ত্রাণ, চিকিৎসা ত্রাণ এবং খ-উপধারায় সাধারণ জন-উপযোগের উদ্দেশ্যও উন্নতি বা প্রসারকে দাতব্য উদ্দেশ্যে হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।’

এই ধারা ক-দফার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো শিক্ষাদানকে ত্রাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার আয়কর আইন ২০২৩ এর ৬ষ্ঠ তফসিলে বলা হয়েছে এই সকল আয় মোট আয় পরিগণনা হইতে বাদ যাইবে -যা ৬ষ্ট তফসিলের ১২ দফায় বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এই দফায় বলা হয়েছে- ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত স্বেচ্ছায় প্রদত্ত চাঁদা যাহা কেবল ধর্মীয় বা দাতব্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ ও আয়কর আইন ২০২৩ এর এই অধ্যায়গুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের খাতগুলো করারোপযোগ্য আয় নয়;

২. শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছাব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের দান বা সরকারি অনুদান করারোপযোগ্য আয় নয়। সুতরাং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়কে করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য করা কর আদায় করা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সবচাইতে বড় বিষয় হলো, শিক্ষা খাতটিকে ধরেই নেওয়া হয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তারা যে অর্থ টিউশন ফি থেকে পাবে সেটি তাদের উন্নয়নের জন্যই ব্যবহৃত হবে। এখান থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতারা কিংবা ট্রাস্টিরা কোনো ধরনের অর্থ তুলতে পারবেন না।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা কিংবা সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবাই ট্যাক্স দেন। আর একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত করতে হলে লাইব্রেরি, ল্যাব সব নানান সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় যখন বিদেশ থেকে তার লাইব্রেরির জন্য বই আনে তখন কি তারা ট্যাক্স বা ভ্যাট ছাড় পান? কিংবা যখন তারা ল্যাবের জন্য উন্নতমানের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনেন তখন কি কোনো ছাড় পান? শুধু তাই নয়, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য জমি ক্রয়েও কি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়?

একজন নাগরিক কিংবা একটি প্রতিষ্ঠান কেন ট্যাক্স দেয়? কারণ নির্দিষ্ট ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র থেকে এই ট্যাক্স দেওয়ার জন্য বিশেষ ধরনের সুবিধার আওতায় আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কি ধরনের সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা হবে করারোপের ফলে— সেটি কি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করা গেছে?

আর ট্রাস্টের মাধ্যমে চলা প্রতিষ্ঠান থেকে ট্যাক্স না নিয়ে বরং সরকারের নীতি-নির্ধারকরা লাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবতে পারেন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও বেশ কয়েকটি লাভজনক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। লাভজনক হলে করের আওতায় তারা সবাই পড়ে যাবে।      

যাইহোক, ঈদের আগে গণমাধ্যমে দেখলাম বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ঈদের আগে এত দ্রুত রাজস্ব বোর্ডের এই পদক্ষেপও বোঝা মুশকিল। একটি বিষয় নিশ্চিত, সেটি হলো, এখন কর দিতে গেলে বিশাল অংক পরিশোধ করতে গেলে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তো আর্থিক সংকটেও পড়তে পারে। সবাইকে বুঝতে হবে- সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিকভাবে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। হাতে গোনা ১০-২০টা হয়তো আর্থিকভাবে সচ্ছল। বাকিরা এখনও চেষ্টা করছে কার্যক্রম চালিয়ে একটি অবস্থানে পৌঁছানোর।

গণমাধ্যমে দেখেছি রাজস্ব বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্তদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন, অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনিয়মে জড়িয়েছে। নানা অনিয়ম তাদের অডিট টিমের কাছেও ধরা পড়েছে।

এই বিষয়েও কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে বলা আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৪৮ ধারায় বর্ণিত রয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও আইন মানতে বাধ্য করার মাধ্যমে যেকোনও সেক্টরে শৃঙ্খলা তৈরি করা যায়।

এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যৌথভাবে বসে আলোচনা করতে পারে। আইনের যথার্থতা বিবেচনায় একটা সিদ্ধান্তে আসতে সব পক্ষের আলোচনা জরুরি।

লেখক: আইনজীবী
[email protected]

/ইউএস/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মুসলিমদের একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মুসলিমদের একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৃষ্টির অপেক্ষায় নার্সারি ও গাছপ্রেমীরা
বৃষ্টির অপেক্ষায় নার্সারি ও গাছপ্রেমীরা
নিজ্জর হত্যার অভিযোগে কানাডায় তিন ভারতীয় গ্রেফতার
নিজ্জর হত্যার অভিযোগে কানাডায় তিন ভারতীয় গ্রেফতার
পিকআপের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, উল্টে গিয়ে ২ শ্রমিক নিহত
পিকআপের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, উল্টে গিয়ে ২ শ্রমিক নিহত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ