হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় একটি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি পদ নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিংহ গ্রামের নূরুল ইসলাম ওরফে শাফি মিয়া ও একই গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি হিলফুল ফুজুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতি নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে গ্রামবাসীর একাংশ নূরুল ইসলামকে ঘোষণা দেন। এর বিরোধীতা করেন কুদ্দুস মিয়া ও তার লোকজন।
এমতাবস্থায় ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস মিয়ার বাড়ির ওপর দিয়ে চলাচলের রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন তিনি। এতে বেশ কয়েকটি পরিবার আটকা পড়েন। বুধবার সকালে এ নিয়ে নুরুল ইসলামের লোকজন ও কুদ্দুস মিয়ার লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর অবস্থায় অন্তত ২০ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠান।
গুরুতর আহতরা হলেন– রাসেল মিয়া (২০), জজ মিয়া (৫৫), জাহির (২৭), জজ মিয়া (৩৭), নূর আলম (২৬), আল আমীন (২৭), জুনাইদ (৩৮), রাশাহীদ (৩৮), তাফসির (১৮), টেনু মিয়া (৩০), বিল্লাল (১৮), নূর আলম (২২), মনিনা খাতুন (২০), শাহীদ মিয়া (৫২), ইকবাল (২৬), মাসুদ (২২), আব্দুল কাইয়ূম (৩৬), সাবাল (২৬), মুন (৪০), সুজন (২৬), ফরিদ (৪২)।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেইসঙ্গে পূণরায় সংঘর্ষে এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।