শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ফের জিরাফ শাবকের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে এ শাবক নিয়ে পার্কে জিরাফের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১টি। গত ২৭ আগস্ট এ শাবকের জন্ম হলেও শাবক ও তার মায়ের নিরাপত্তা বিবেচনা করে পার্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রবিবার (৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রকাশ করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, জিরাফ বিদেশি প্রাণী হওয়ার পরও পার্ক কর্তৃপক্ষের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ফের একটি শাবকের জন্ম হয়েছে। এর আগে এই পার্কের একমাত্র পুরুষ জিরাফের মৃত্যুতে আমরা আশাহত হয়েছিলাম। তবে ফের একটি পুরুষ শাবকের জন্ম হওয়ায় আশার আলো দেখা দিয়েছে। নতুন জন্ম নেওয়া শাবকটি যদি সুস্থ অবস্থায় বড় হয় তবে জিরাফের প্রজননে বড় ভূমিকা রাখবে এই শাবকটি।
সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক সারোয়ার হোসেন খান জানান, দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০টি জিরাফ আনা হয়েছিল। এসব জিরাফ এই পার্কে বেশ কয়েকবার শাবকের জন্ম দেয়। তবে অসুস্থ হয়ে কয়েকটি জিরাফের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি পার্কের একমাত্র পুরুষ জিরাফের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে জিরাফ পরিবার ছিল পুরুষ শূন্য। গত ২৭ আগস্ট এই জিরাফ শাবকের (পুরুষ) জন্ম হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এক মাসের বেশি সময় পর তা প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে মা ও শাবক সুস্থ আছে। নতুন শাবকটি মায়ের দুধ পানের পাশাপাশি ঘাসও খাচ্ছে। মা জিরাফকে অতিরিক্ত কৃত্রিম খাবার দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, জিরাফ মূলত আফ্রিকান তৃণভোজী স্তন্যপায়ী প্রাণী। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী হিসেবে জিরাফকে বিবেচনা করা হয়। একটি জিরাফ লম্বায় ১৮ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। ওজন হয় ১৫০০-৩০০০ পাউন্ড। জিরাফের গলা লম্বা হয় ৬ ফুট পর্যন্ত। এদের হৃদপিণ্ডে ৫৫ লিটার বায়ু ধারণ করতে পারে। জিরাফের মাথায় দুইটি ভোঁতা শিং থাকে। জিরাফ সামাজিক প্রাণী হওয়ায় এদের স্বভাব মূলত নিরীহ। জিরাফের প্রধান খাবার গাছের পাতা। এরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত পানি না খেয়ে থাকতে পারে। একটি স্ত্রী জিরাফের গর্ভকাল ১৪ মাস পর্যন্ত হয়। জন্মলগ্নে শাবকের ওজন হয় ৫০ থেকে ৬০ কেজি।