দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা যখন দিশেহারা তখন ময়মনসিংহে বেকারি পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে ১০ শতাংশ। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) থেকে জেলা বেকারি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে শোরুমগুলোতে তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ময়মনসিংহের ক্রেতারা পড়েছেন চরম বিপাকে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেকারি পণ্যের শোরুমগুলোতে দেখা গেছে, ১০ শতাংশ দাম বাড়ানো নিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা চলছে। কেউ কেউ রাগে-ক্ষোভে পণ্য না কিনে ফিরে গেছেন।
চরপাড়া মোড়ের রুমা কনফেকশনারি শোরুমে পণ্য কিনতে আসা ক্রেতা হালিমা খাতুন বলেন, ‘বিস্কুট-পাউরুটি থেকে শুরু করে অন্যান্য পণ্যের দাম গড়ে শতকরা ১০ টাকার ওপরে বাড়ানো হয়েছে। বাসা থেকে যে টাকা এনেছিলাম, দোকানে পণ্য কিনতে এসে দাম বাড়তি দেখে বাসায় ফিরে যেতে হচ্ছে। সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের চরম বিপদে পড়তে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: এবার বাড়লো চা-পরোটা-শিঙাড়ার দাম
শহরের আরেক ক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, ‘১০ শতাংশ হারে কেন সব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে দোকানিকে জিজ্ঞাসা করায় ঝগড়া লেগেছে। এ বিষয়ে দায়িত্বশীলদের নজর দেওয়া উচিত। সবাই মনমতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। দেশে সব ধরনের পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, আমাদের মতো ক্রেতাদের আয় কিন্তু সেই হারে বাড়েনি।’
বেকারি পণ্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দুই দিন আগে যে পাউরুটি ৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। ২০০ টাকার এক কেজি টোস্ট বিস্কুট বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। ৩২০ টাকা কেজির ড্রাই কেক বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। ৩০০ টাকার মিষ্টি বিস্কুট বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। এভাবেই বেড়েছে প্রত্যেকটি পণ্যের দাম।
ময়মনসিংহ বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বেকারি পণ্য তৈরির ময়দা, চিনি ও তেলসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। এ জন্য দাম বাড়ানো হয়েছে। দাম বাড়ানোর আগে সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি শোরুমে পণ্যের দামের তালিকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বেকারি পণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে নেই। হঠাৎ কেন বেকারি মালিকরা পণ্যের দাম বাড়ালেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো।