X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
২০ জুন ২০২২, ১৯:৪৩আপডেট : ২০ জুন ২০২২, ১৯:৪৪

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক (বরখাস্ত) ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে আদালতে দুদকের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হয়েছে। সোমবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আদালতে প্রদীপ ও চুমকি উপস্থিত ছিলেন।

প্রদীপ কুমার দাশ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সোমবার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। দুই আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছি আদালতে।’ আগামী ২৭ জুন এ মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ রয়েছে বলে জানান তিনি।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২-এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন এ মামলা করেন। মামলায় তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মামলা দায়ের করার পর থেকে পলাতক ছিলেন চুমকি কারন। গত ২৩ মে চুমকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রদীপের স্ত্রীর নামে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। চুমকির চার কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল। যার মধ্যে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে দুদক। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর এই মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসী আব্দুল মজিদ।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের হরেন্দ্রলাল দাশের ছেলে প্রদীপ। নগরীর কোতয়ালি থানার পাথরঘাটা আরসি চার্চ রোডের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশে যোগ দেন প্রদীপ।

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লা শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ে ঠিকাদারকে মারধর২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সর্বশেষ খবর
আম আদমি পার্টির সাথে জোট, দিল্লি কংগ্রেস প্রধানের পদত্যাগ
আম আদমি পার্টির সাথে জোট, দিল্লি কংগ্রেস প্রধানের পদত্যাগ
কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেবে ডিএনসিসি
৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেবে ডিএনসিসি
জাল ভোট দিতে গিয়ে পেলেন ৬ মাসের কারাদণ্ড
জাল ভোট দিতে গিয়ে পেলেন ৬ মাসের কারাদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে