খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) লাবণি আক্তার আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন তার মামা যশোর বিমান বাহিনী কলেজে সহকারী অধ্যাপক মোল্লা হাসিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লাবণির সঙ্গে তার স্বামী তারেক আবদুল্লাহর মনোমালিন্য ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সে নানার বাড়িতে আত্মহত্যা করে।’
আরও খবর: অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার লাবণির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘লাবণির মৃত্যুতে তার মা অচেতন হয়ে আছেন। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল আজম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শফিকুল আজম শ্রীপুরের নাকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ছয়-সাত বছর আগে তিনি অবসর নিয়েছেন। তিনি বরালিদহ গ্রামের নিবাসী। লাবণির দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স আট এবং ছোট মেয়ের তিন বছর। লাবণির স্বামী তারেক আবদুল্লাহ মাগুরা সদরের হজিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
লাবণি আক্তারের বাবা খন্দকার শফিকুল আজম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে কলহ চলছিল লাবনীর। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, স্বামীর চিকিৎসার অর্থ, বাজারসদাই ও সন্তানদের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যত নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য চলছিল। মেয়েটা খুব জেদি ছিল। যা বলতো, তাই ছিল শেষকথা। যদি বলতো হবে না, তা কোনোভাবেই হতো না। রেগে গেলে থামানো যেতো না। আমার মনে হচ্ছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিতে চাই না।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও মিডিয়া উইংয়ের মুখপাত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘১৮ জুলাই থেকে ছুটি নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) লাবণি আক্তার মাগুরায় নানার বাড়ি যান। তার দুটি মেয়ে রয়েছে। তার স্বামী তারেক আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার এডি। তিনি ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। তিনি বর্তমানে চেক-আপের জন্য ভারতে রয়েছেন। লাবণি বিসিএস ৩০তম ব্যাচের পরীক্ষার্থী ছিলেন।’
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) লাবণি আক্তারের ঝুলন্ত লাশ মাগুরার শ্রীপুরের নানাবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন জানান, শ্রীপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।