কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন না করায় দুই শিক্ষার্থীর স্নাতকের সনদ উত্তোলনের ফরমে সই না করার ঘটনার পর ক্ষমা চাইলেন অর্থ ও হিসাব দফতরের সেই কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার।
বুধবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু তাহের এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তানিয়া আক্তার নিজের ভুল অনুধাবন করে ক্ষমা চান। এ সময় তিনি মোবাইলে কল করে ভুক্তভোগী রিদওয়ানুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
দুঃখ প্রকাশের বিষয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আজকেই আমরা কথা বলে বিষয়টা মিটমাট করেছি। আসলে এটা ভুল বুঝাবুঝি ছিল। যে শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমনটি হয়েছে তার কাছে আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি। উনিও ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হিসেবেই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। আশা করি এ নিয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না।’
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রিদওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘গত সোমবার স্নাতকের সনদ উত্তোলনের ফরমে সাইন করা নিয়ে অর্থ ও হিসাব দফতরের এক কর্মকর্তার সঙ্গে আমার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তবে ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদান ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরও সচেতন থাকবেন বলে তারা জানিয়েছেন। তাই আমি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ পাওয়ার প্রত্যাশা রাখছি।’
এই বিষয়ে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, ‘মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বুঝাবুঝি হয়ে গেছে সেটার সমাধানও করেছি আমরা। আমরা আশা করবো ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে।’