সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাজ গ্রামে কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন জন নিহতের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক ও বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ বাদী হয়ে রবিবার রাতে মালদার মিয়ার পক্ষের ১৬৩ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুলাই শুক্রবার হাসনাবাজ জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি কাঁঠাল নিলাম নিয়ে মালদার মিয়ার গোষ্ঠীর শেখ ফরিদ এবং দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর আনার উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বিবাদী শেখ ফরিদ অধিক দামে কাঁঠাল কিনতে না পারার আক্রোশে দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর লোকজনদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে চলে যান। এই ঘটনার জেরে গত ১০ জুলাই সকাল ১০টায় হাসনাবাজ গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষের ঘটনায় হাসনাবাজ গ্রামের দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক, আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া এবং মালদার মিয়ার গোষ্ঠীর আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া মারা যান। পরদিন রাতে অন্যগ্রামে পালিয়ে থাকা অবস্থায় মালদার মিয়ার পক্ষের মখলিছুর রহমান নামে আরেকজন মারা গেছে বলে প্রচার হয়। তবে পুলিশ বলেছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে কীভাবে মখলিছুরের মৃত্যু ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সংঘর্ষের ঘটনার ছয় দিন পর দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠীর নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে মালদার মিয়ার গোষ্ঠীর ৬৯ জন এবং নিহত বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ বাদী হয়ে ৯৪ জনকে আসামি করে এই দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি জানান, এ পর্যন্ত ১৮ জন আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।