দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে রাঙামাটির সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে আটকা পড়েছেন তিন শতাধিকের বেশি পর্যটক। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পর্যটক আটকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার। এদিকে আটকে পড়া পর্যটকদের ৫০ ভাগ রুম ভাড়া ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতি।
রুমানা আক্তার জানান, কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড় ধসে রাস্তাঘাটে চলাচলে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সাজেকে তিন শতাধিকের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছেন। তবে পর্যটকেরা নিরাপদেই রয়েছেন।
ইউএনও বলেন, ‘সাজেকে ২০টি মোটনসাইকেল, ২০টি জীপ ও চারটি মাহেন্দ্রসহ বেশ কয়েটি প্রাইভেটকার রয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান অতি ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার প্রধান সড়কের একটি কালভার্ট ডুবে গেছে। ফলে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। যেহেতু সাজেকে দীঘিনালা হয়ে যাতায়াত করতে হয়, তাই সাজেকে যাতায়াতের পথও সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
পর্যটক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন বলেন, ‘গত সোমবার সাজেকে এসেছি। রাত থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যুৎ নেই। মোবাইলে নেটওয়ার্কের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সারা দিন রুমেই সময় কাটছে।’
শৈল কুঠির রিসোর্টে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা মাসুমা পারভীন বলেন, ‘গতকাল এসেছি। আজ চলে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যাওয়া হচ্ছে না। তবে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ ভাড়া ৫০ ভাগ কমিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি ভালো লেগেছে।’
সাজেক হিল ভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, ‘দীঘিনালা-বাঘাইহাট সড়ক বন্ধ থাকার কারণে সাজেকে বেড়াতে আসা পর্যটক যাদের আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তারা ফিরতে পারেননি। নতুন কোনও পর্যটকও আসেননি আজ।’
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সহসভাপতি জয় মারমা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাজেক থেকে কোনও গাড়ি ছেড়ে যায়নি এবং বাঘাইহাট থেকেও সাজেকে কোনও গাড়ি প্রবেশ করেনি আজ। তাই পর্যটকরা সাজেকে অবস্থান করছেন। যেহেতু তারা আটকা পড়েছেন তাই সমিতির পক্ষ থেকে সবার রুম ভাড়া ৫০ ভাগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের আজকের জন্য অগ্রিম বুকিং ছিল তাদের টাকাও রিটার্ন করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। অগ্রিম বুকিং করা কোনও পর্যটক যদি পরে আসতে চান তাহলে আমরা সেটা সমন্বয় করে দেবো।’