X
রবিবার, ১১ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

কুলাউড়ায় অভিযান শেষ, তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলেনি সিটিটিসি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
১৫ আগস্ট ২০২৩, ২২:৩৮আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৩, ২২:৪২

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় জঙ্গি সন্দেহে আটক ১৭ জনের মধ্যে দুজনকে নিয়ে কর্মধার কালা পাহাড় এলাকায় নতুন আস্তানা খুঁজতে গিয়ে কাউকে পায়নি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

সোমবার সকালে কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ বাজার এলাকায় স্থানীয়রা ১৭ জনকে জঙ্গি সন্দেহে আটকের পর রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে সিটিটিসি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আটকদের দুজনকে নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ের গভীরে অভিযানে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সেখান থেকে ফিরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার আমরা ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে ছিলাম। তখন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার আমাকে কিছু ছবি পাঠান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ফোন করে বলেন, “স্যার দেখেন তো এখানে ওই গ্রুপের কেউ আছেন কিনা?” আমি তাৎক্ষণিক সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিই। তিনি সেই ছবি দেখেই বলেন, “স্যার আমাদের এখনই মুভ করতে হবে। এখানে যারা (আটক) ছিল, তারা তাদের শনাক্ত করেছে। আমরা যাদের খুঁজছি, আমাদের ওই মামলার যারা আসামি, তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি এখানে আছেন।” তারপর আধ ঘণ্টার মধ্যে গাড়িতে উঠি।’ 

সন্দেহভাজন জঙ্গিদের সঙ্গে অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কিনা, কিংবা এখান থেকে তারা কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কিনা– জানতে চাইলে সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কিছু সময় দিন। আমরা তো তাদের ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদই করতে পারলাম না। আমরা নতুন নতুন লিংক পাচ্ছি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কাজ করবো। আশা করি, তখন আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় চার ঘণ্টার এই অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২০টির বেশি পাহাড় ডিঙিয়ে ওই আস্তানায় পৌঁছায়। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। জায়গাটি দুর্গম হলেও তারা খুব সহজেই সেখানে যাতায়াত করতে পারতো।’

জঙ্গিরা এটাকে তাদের ভাষায় ‘আনসার হাউজ’ বলে উল্লেখ করে জানিয়ে সিটিটিসির কর্মকর্তা বলেন, ‘সেখান থেকে ৯৫টি ডেটোনেটর, ছয় কেজি বিস্ফোরক এবং ১৪টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।’  

এর আগে শুক্রবার রাত থেকে কর্মদা পূর্ব টাট্টিওয়ালি গ্রামের বাইশালী বাড়ি এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ জন নারী-পুরুষ ও তিন শিশুকে আটক করেছিল সিটিটিসি ইউনিট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছিল, তারা নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দলনেতা ইমাম মাহমুদ আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বলা যাবে না। অপারেশনের স্বার্থে আমরা অনেক কিছুই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবো না।’

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গেজেট প্রকাশের পর আ.লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
গেজেট প্রকাশের পর আ.লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
বিশ্বশান্তি কামনায় বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন
বিশ্বশান্তি কামনায় বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা জুলাই আহতদের
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা জুলাই আহতদের
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জুলাইযোদ্ধা দুর্জয়
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জুলাইযোদ্ধা দুর্জয়
সর্বাধিক পঠিত
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ‘ভাই হিসেবে মেরেছি’
লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ‘ভাই হিসেবে মেরেছি’
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ