মাদারীপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে আট শিশু রোগী এবং তাদের অভিভাবকদের কোনও ক্ষতি না হলেও আতঙ্ক দেখা দেয়। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে হাসপাতালের পঞ্চম তলার ওই ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল, রোগী ও রোগীর আত্মীয়-স্বজন সূত্রে জানা যায়, ভোরে রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা হঠাৎ শিশু ওয়ার্ডের বি-৫ শয্যায় আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পান। এ সময় ওই ওয়ার্ডে থাকা আট শিশু ও তাদের সঙ্গে থাকা আত্মীয়-স্বজনরা দ্রুত পাঁচ তলার ওয়ার্ড থেকে নিচে নেমে আসেন। পরে ওয়ার্ডে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
শিশু ওয়ার্ডের রোগীর স্বজন হাসান বলেন, ‘আমরা সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ভোরে ধোঁয়া ও পোড়ার গন্ধ নাকে আসে। পরে কোনও কিছু না ভেবে মেয়েসহ আমি এবং ওই ওয়ার্ডে থাকা অন্যরা শিশুদের নিয়ে দ্রুত নিচে নেমে যান। আগুন দ্রুত নেভানো না গেলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেত।’
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করে শিশু ওয়ার্ডে আগুনের সূত্রপাত হলে তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে নেভানো হয়। এ সময় ওয়ার্ডে থাকা শিশু ও তাদের স্বজনদের দ্রুত নিচে নামানো হয়। আগুন নেভানোর আধাঘণ্টা পরেই আবারও রোগীদের শয্যায় ফিরিয়ে আনা হয়। আগুনে ওয়ার্ডে থাকা একটি শয্যার চাদর ও ফোমের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি।’
সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, ‘সিলিং ফ্যান থাকার পরেও একজন রোগীর স্বজন চার্জার ফ্যান ব্যবহার করছিলেন। সেই চার্জার ফ্যান থেকে ওই শয্যার মশারিতে আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ওয়ার্ডের লোকজনই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চার্জার ফ্যানটির ত্রুটির কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ শিকদার বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।’