নেত্রকোনা সীমান্ত এলাকায় নিহত এক বাংলাদেশির মরদেহ দুদিন পর হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
বিজয়পুরের বাংলাদেশ-ভারত জিরো পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
নিহত বাংলাদেশির নাম রেজাউল করিম। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার আলিনাপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং ওষুধ ব্যবসায়ী।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নেত্রকোনা ৩১ বিজিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকার সীমান্ত দিয়ে সাত বাংলাদেশি নাগরিক কাঁটাতার থেকে আনুমানিক ১০০-১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। সে সময় ভারতের দমদমা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ছয় জন পালাতে সক্ষম হন। একজন সেখানে একটি কালভার্ট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
এদিকে, বিষয়টি জানাজানির পর দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আলোচনার মাধ্যমে দুদিন পর রেজাউল করিমের মরদেহ হস্তান্তর করে ভারত।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ভারতীয় পুলিশ রেজাউল করিম নামে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইতোমধ্যে নিহতের স্বজনরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। মরদেহ ভারতে একবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।’