কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে এক হাজার ৫০০ কেজি প্লাস্টিকের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। কেওক্রাডং বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইউনিলিভার বাংলাদেশের সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায়। এতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, টুরিস্ট পুলিশ, স্থানীয় লোকজনসহ সারা দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সেন্টমার্টিনের স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনের অলিগলি ও সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানান ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন জানান, এর আগেও সংগঠনটির উদ্যোগে দ্বীপে এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। এটি তাদের ত্রয়োদশ উদ্যোগ।
সেন্ট মার্টিনের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিব খান বলেন, ‘সেন্টমার্টিনকে পরিষ্কার রাখার জন্য ১৩ বছর ধরে এই কাজ করার জন্য কেওক্রাডং বাংলাদেশেকে স্বাগত জানাই। এইভাবে সবাই এগিয়ে আসলে শুধু সেন্টমার্টিন নয়, আমরা বর্জ্যমুক্ত একটি পৃথিবীও গড়ে তুলতে পারবো।’
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, ‘বাংলাদেশে ভৌগলিক কারণে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য যেকোনও জলাধার হয়ে থাকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। আর সেন্টমার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল, সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ নিদর্শন। সৌন্দর্যের টানে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এ দ্বীপে জড়ো হন। দ্বীপটির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি এর সংরক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব।’