যশোরে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম (২৭) নামে এক বাবুর্চিকে পিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। পরে ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে।
এদিকে, শিশু ধর্ষণচেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গভীর রাতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আটক তরিকুল চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের ফাজেল আলীর ছেলে। কাজের সুবাদে সে যশোর সদর এলাকায় ভাড়া থাকে। এ ছাড়া এয়ারপোর্ট রানওয়ের কাছে একটি রেস্টুরেন্টে বাবুর্চির কাজ করে। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
যশোর কোতয়ালি থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত শিশুটি একই বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়ার মেয়ে। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে তরিকুল কাজ শেষে বাসায় ফিরে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ধোলাই দেয়। একপর্যায়ে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরিকুলকে আটক করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে উত্তমমধ্যম দেয়। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে থানার এসআই সাইফুল ইসলামও আহত হন। তিনিও জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে, তরিকুলকে কোতয়ালি থানায় নিলে রাত ১টার দিকে সেখানে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। তারা থানা ঘেরাও করে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
গণপিটুনিতে আহত তরিকুল ইসলাম হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, শনিবার রাতে কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরলে শিশুটির নানি স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার ওপরে হামলা চালায়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার বজলুর রশিদ টুলু জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে পুলিশ জরুরি বিভাগে আনলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। পুলিশের এসআই সাইফুলকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।