শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক কোনও কাজ না শেখানোর অভিযোগ ওঠা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনের নৈতিক স্খলন প্রমাণিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ড. সুজন সেনের আচরণ নৈতিক স্খলন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ৫৫(৩) ধারায় ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছেন– সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর মো. রেজাউল করিম-২ ও ড. সুজন সেন কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি। গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত রাবি সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে, অযোগ্যতা, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ড. সুজন সেনকে গত বছরের ২৫ আগস্ট বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। সে বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগের সভাপতির কাছে বিভিন্ন দুর্নীতি এবং অনিয়মের প্রমাণসহ প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার এক লিখিত অভিযোগ জমা দেন তারা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সেপ্টেম্বর জরুরি সভায় সুজন সেনকে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে তার অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে দেয়।