ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তিন ঘণ্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে কুদ্দুস মোল্লা (৬০) নামে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার রাত ৮টার থেকে ১১টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপুর্টি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মকরমপুর্টি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দবির মাতব্বরের সঙ্গে একই গ্রামের বজলু মুন্সির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার রাত ৮টায় দবিরের পক্ষের সোলেমান মাতুব্বর এবং বজলুর পক্ষের শাহ আলমের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় দুই দল গ্রামবাসী দেশি অস্ত্র, ডাল, কাতরা, টেঁটা রামদা, ইট নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কুদ্দুস মোল্লা নিহত ও ৩০ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তাহসিন জুবায়ের জানান, সংঘর্ষে ঘটনায় এ পর্যন্ত আহত ৬-৭ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং কুদ্দুস মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মার্গে পাঠানো হবে।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরপরই দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।’ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।