বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম শাটডাউন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরতরা। সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সব দফতর থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস কক্ষ ত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহ প্রতিটি দফতরে গিয়ে কক্ষে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে সহযোগিতা করার জন্য কক্ষ ত্যাগের অনুরোধ জানানো হয়।
সব কক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বের হলে কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আবারও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নিচতলায় অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে ফেটে পড়েন তারা। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘এপ্রিল মাসে টানা ১৮টি দিন চার দফা দাবি আদায়ে আমরা আন্দোলন করেছি। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু উপাচার্য একটি দিনের জন্যও আমাদের সঙ্গে কোনও ধরনের বৈঠকে বসেননি। এমনকি সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাকে ফোন করে পাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য যোগদানের পর থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ একজন শিক্ষার্থী অর্থ সংকটের কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ওই শিক্ষার্থী আর্থিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাও দেওয়া হয়নি।
‘এমনকি আন্দোলন থামাতে উপাচার্য বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২২ শিক্ষার্থীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এ কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনে যোগ্যতা হারিয়েছেন।’
তা ছাড়া যোগদানের পর থেকে উপাচার্য ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের পুনর্বাসনে ব্যস্ত থাকায় তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মোশারেফ।
এর আগে চার দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপাচার্যের কোনও ধরনের পদক্ষেপ না থাকায় এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয় গেল ৪ মে।