টাঙ্গাইলে সাপের কামড়ে এক স্কুলছাত্রী ও এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা দক্ষিণপাড়া এবং শুক্রবার দিনগত রাতে ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের যুগিয়া টেঙ্গর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
মৃত দুজন হলেন– ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের কালিকাপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের মেয়ে স্কুলছাত্রী আঁখি আক্তার (১৪) এবং সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা দক্ষিণপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী কাজলী বেগম (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, আঁখি রাতে পড়তে বসে। সে সময় টেবিলে নিচে একটি বিষধর সাপ আঁখির পায়ে কামড় দিলে সে ব্যথা অনুভব করে। পরে রাতেই তাকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে আঁখির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মিয়া জানান, আঁখির পায়ে সাপের কামড়ের চিহ্ন ছিল। বিষধর সাপের কামড়েই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, কাজলী বেগমের পরিবারের সদস্যরা জানান, কাজলী বেগম শনিবার সকালে পানি আনতে ঘরের পাশে নলকূপে যান। সেখানে একটি সাপ তার বাঁ হাতে ছোবল দেয়। এতে তার দুই আঙুলে বিষধর সাপের দাঁতের চিহ্ন বসে যায়। এ সময় তিনি চিৎকার করে বিষয়টি ছেলেকে জানান। ছেলে মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাজলী বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের ছেলে হোসেন আলী বলেন, ‘মার চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে গিয়ে সাপ দেখতে পাইনি। হাতে চিহ্ন দেখে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তারপরও মাকে বাঁচাতে পারলাম না।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ওই নারী মারা গেছেন। তার বাঁ হাতের দুটি আঙুলে ক্ষতচিহ্ন দেখে বিষধর সাপের কামড় বলেই মনে হয়েছে। বিষয়টি থানায় জানিয়ে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’