নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-আইসিইউ) বৃষ্টি ছাড়াই পানি পড়ছে। একপাশে রোগী আর একপাশে পড়ছে পানি। তার পাশ দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে ছোটাছুটি করছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। আর পানি ফ্লোরে পড়া আটকাতে কক্ষের বিভিন্ন অংশে রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের গামলা। আর রোগীদের জন্য আলাদা করে লাগানো হচ্ছে বৈদ্যুতিক পাখা। এ ঘটনা কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ’র।
একটি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের এমন অবস্থার কথা জেনে রীতিমতো হতবাক সেবাগ্রহীতা ও চিকিৎসকরা। আর বার বার আবেদনেও সমাধান না মেলায় গণপূর্ত অধিদফতরের অবহেলার কথা উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আইসিইউ সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুন মাসে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন করা হয় দুটি বিশেষ আইসিইউ ইউনিট। সে সময় কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপন করা ১০ বেডের আইসিউ কক্ষের ভেতর তিনটি ১৫ টনের এসি স্থাপন করা হয়। কিছুদিন না যেতেই এসির কম্প্রেশার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এ কারণে আইসিইউ কক্ষটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকে না। আর কক্ষের ভেতরের কয়েকটি স্থানেই এসি থেকে পানি পড়তে থাকে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানের জন্য নির্মাণকারী গণপূর্ত অধিদফতরকে বলা হলেও তারা এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইসিইউ ইউনিটের সিনিয়র স্টাফ নার্স অর্ভিল দাশ বলেন, ‘আমাদের এখানে সব সময় রোগী থাকেন। তাই বসে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু এখানে অনেক গরম। কম্প্রেশার নষ্ট হয়ে পানি পড়ছে। মাঝে মাঝে নার্সরা কাজ করতে করতে ঘেমে যান। ঘাম নিয়েই কাজ করেন। অনেক রোগীর শরীরে গরমে ঘা দেখা দেয়। আমরা কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বিষয়টি জানিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গরমের কারণে অনেক রোগীকে ফ্যান লাগিয়ে বাতাস নিতে হয়। এতে ফ্যানের শব্দে রোগীদের ক্ষতি হয়।’
গণপূর্ত কুমিল্লা অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ই/এম) মো. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, ‘বিষয়টির জন্য আমাদের আলাদা টিম রয়েছে। এই সমস্যাটির জন্য সেখানে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশীর আহমেদ জানান, সিভিল সার্জন অফিস বিষয়টি গণপূর্তকে বার বার জানিয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি আছে ভবনটির। কিন্তু কোনও দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখা যায়নি।