ভোটকেন্দ্রে অবৈধভাবে প্রবেশ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে দেওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুই বছরের কারাদণ্ড মওকুফের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আকতারের আদালত এ আদেশ দেন।
চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. নাছির উদ্দীন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে দুই বছরের সাজা মওকুফ করে দিয়েছেন।
নুরুল আজিম রনির আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রনিকে জেলে পাঠান। পরে আমরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিলের মাধ্যমে জামিন আবেদন করি। তখন আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া আপিল নিষ্পত্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতে পাঠান। আপিল শুনানি শেষে আজ আদালত আমাদের আপিল মঞ্জুর করেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করে নুরুল আজিম রনিকে খালাস দেন বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ মে হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলার সময় একটি কেন্দ্রের পাশ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ব্যালট পেপারে ব্যবহৃত একটি সিলসহ রনিকে আটক করে বিজিবি। ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোটকেন্দ্রে অবৈধ প্রবেশ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ইউপি নির্বাচন আইনে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। ২০১৬ সালের ৩০ জুন রনি জামিনে মুক্তি পান।