কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ৪৫০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে পুলিশ। এসব রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সমুদ্রসৈকতে ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে গেছেন।
বুধবার সৈকতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। বুধবার সকাল থেকে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
এরই মধ্যে সকাল থেকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দলবেঁধে রোহিঙ্গাদের ঘুরতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান তারা। খবর পেয়ে বিকালে সৈকতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪৫০ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে দলবেঁধে রোহিঙ্গারা ঘোরাঘুরি করছে এমন খবর আসে আমাদের কাছে। খবর পেয়ে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশের একাধিক টিম বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। এ সময় লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৪৫০ রোহিঙ্গাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে এসেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এখন কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক অবস্থান করছেন। তাদের নিরাপত্তার একটা বিষয় রয়েছে। ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা সৈকতে ঘুরলে আসায় পর্যটকদের মনে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্প থেকে এভাবে রোহিঙ্গারা বের হতে সৈকতে ঘুরতে আসতে পারেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আটক রোহিঙ্গারা কীভাবে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে ঘুরতে এসেছেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাদেরকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’