ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলায় নিহত প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাদিসুর রহমানের পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাচ্ছে পাঁচ লাখ ডলার (প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা)। একইসঙ্গে তার এক ভাইকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৫ মে) বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক (শিপ পার্সোনাল) ক্যাপ্টেন আমীর মো. আবু সুফিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইন্স্যুরেন্স থেকে এ টাকা হাদিসুরের পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। তার এক ছোট ভাইকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে অস্থায়ীভাবে বিএসসিতে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১ জুন থেকে তিনি চাকরিতে যোগ দেবেন। একইভাবে জাহাজে থাকা ২৮ নাবিক-ক্রু সাত মাসের বেতন পাবেন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইন্স্যুরেন্স থেকেই হাদিসুরের পরিবারকে পাঁচ লাখ ডলার দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। একই সঙ্গে সাত মাস করে বেতন পাবেন বাকি ২৮ নাবিক-ক্রু। হাদিসুরের পরিবারকে বিভিন্ন ধাপে বিএমএমওএ-এর পক্ষ থেকে ১৯ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইটিএফ নামে নাবিকদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা।’
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে অবস্থানরত অবস্থায় বিএসসির মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলা হয়। এ সময় জাহাজটিতে ২৯ জন নাবিক ও ক্রু ছিল। হামলায় জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান নিহত হন। এ ছাড়া ওই রকেট হামলায় জাহাজের নেভিগেশন ব্রিজে ভয়াবহভাবে আগুন ধরে যায়। এতে জাহাজটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে জাহাজটি ঘটনাস্থলে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে ১০ মার্চ জীবিত ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৫ মার্চ নিহত হাদিসুর রহমানের লাশ দেশে পৌঁছে।