নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বিয়েবাড়িতে কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার প্রধান আসামি মোহাম্মদ টিপু (২৪) দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রবিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ মো. মহিববুল্লাহ ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে টিপুকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, গত শনিবার রাত ১১টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাস টার্মিনাল থেকে টিপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজার সংলগ্ন মালিপাড়া এলাকার নুরনবী মেম্বার বাড়ির রফিক উল্লার ছেলে।
এসপি আরও জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিয়েবাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন টিপু। এরপর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। গতকাল দুপুরে টিপুকে আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহবুবুল আলম। সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মহিববুল্লাহ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর রাত ১১টায় কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন টিপুর। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ রাত ২টায় ভুক্তভোগীকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, অভিযুক্ত যুবক ও ভুক্তভোগী কিশোরী দূর সম্পর্কের মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন। মঙ্গলবার ওই কিশোরী তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আরেক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। এক পর্যায়ে ওই কিশোরীর মা-বাবা বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে তাদের বাড়িতে ফিরে যান। অভিযুক্ত টিপু কৌশলে ওই কিশোরীকে বিয়েবাড়ির একটি ভবনের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তারপর কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।