X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নিবন্ধনের আওতায় আসছে ৬৫ হাজার নৌযান

নাসির উদ্দিন রকি, চট্টগ্রাম
১৮ জুলাই ২০২৩, ০৮:০১আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৮:০১

শিগগিরই নিবন্ধনের আওতায় আসছে ৬৫ হাজার নৌযান। যেগুলো মাছ ধরার কাজে বঙ্গোপসাগরে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব নৌযানের ধারণক্ষমতা ১৫ টনের কম। সাগরে ৪০ মিটার গভীরতার মধ্যে এগুলো চলাচল করে। এসব তথ্য বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন সামুদ্রিক মৎস্য দফতর চট্টগ্রামের পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান।

সামুদ্রিক মৎস্য দফতর সূত্র জানায়, সমুদ্রে মাছ ধরায় নিয়োজিত আছে এমন নৌযানের ধরন তিনটি। ধরনগুলো হলো—বাণিজ্যিক ট্রলার, যান্ত্রিক নৌযান ও আর্টিশনাল নৌযান। এর মধ্যে দেশে নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বাণিজ্যিক ট্রলার ২৩১টি ও যান্ত্রিক নৌযান ২৮ হাজার ৫০০টি। অপরদিকে আর্টিশনাল যান্ত্রিক নৌযান আছে ৬৫ হাজার। এর বেশিও থাকতে পারে। তবে আর্টিশনাল নৌযানগুলোর নিবন্ধন নেই। যে কারণে প্রকৃত সংখ্যাও নেই দফতরে। ফলে এগুলো এবার নিবন্ধনের আওতায় আসছে। তিন ধরনের নৌযান দেশের ১৪টি উপকূলীয় জেলা এবং ৬৭টি উপজেলার নদী ও সাগরে চলাচল করে।

মৎস্য দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাগরে নৌযান চলাচল নিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সেসব বিধিনিষেধ মানছে না অনিবন্ধিত নৌযানগুলো। বিশেষ করে সাগরের তীর থেকে ১০ মিটারের মধ্যে মাছ ধরায় বিধিনিষেধ আছে। এই স্থানকে মাছের প্রজনন স্থান বলা হয়। নিবন্ধিত নৌযানগুলো এই বিধিনিষেধ মানলেও অনিবন্ধিত নৌযানগুলো বিধিনিষেধ মানছে না। ফলে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া যায় না। এই কারণে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। 

সাগরে মাছ ধরায় শৃঙ্খলা ফেরাতে আর্টিশনাল নৌযানগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানালেন মৎস্য দফতরের পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অনিবন্ধিত নৌযান নিয়ে সরকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। প্রাথমিকভাবে আর্টিশনাল নৌযানগুলোকে তিন বছরের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে। পরে প্রতি বছর তা নবায়ন করতে হবে। শিগগিরই এই প্রক্রিয়া শুরু করবো আমরা।’

সাগরে যে ২৩১টি বাণিজ্যিক ট্রলার চলাচল করে সেগুলো ৪০ মিটারের অধিক গভীরে গিয়ে মাছ ধরে উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘২৮ হাজার ৫০০টি যান্ত্রিক নৌযান ৪০ মিটারের কম গভীরতার মধ্যে থেকে মাছ ধরে। একইভাবে অনিবন্ধিত আর্টিশনাল নৌযানগুলো ৪০ মিটারের কম গভীরতার মধ্যে থেকে মাছ ধরবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর্টিশনাল নৌযানগুলো নিবন্ধিত হওয়ার পর সাগরে আর কোনও অবৈধ নৌযানকে মাছ ধরার জন্য নামতে দেওয়া হবে না। বর্তমানে সাগরের নিরাপত্তায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং নৌ-পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি সাগরের নিরাপত্তা তথা তদারকির জন্য ১৪টি চেকপোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে একটি চেকপোস্ট রয়েছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়। বাকিগুলো স্থান নির্ধারণের পর স্থাপন করা হবে।’

/এএম/
সম্পর্কিত
কাপ্তাই হ্রদে নাব্য সংকট, ৫ উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ
সাগরে মাছ নেই, খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা
মিধিলির আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত দুবলার চরের শুঁটকিপল্লি, ক্ষতি ৩০ কোটি
সর্বশেষ খবর
অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে এই ৪ খাবার
অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে এই ৪ খাবার
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জেতা সহজ হবে না: শান্ত
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জেতা সহজ হবে না: শান্ত
আদালতে মিল্টন সমাদ্দার
আদালতে মিল্টন সমাদ্দার
রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে ৩ জনের মৃত্যু
রাঙামাটিতে বজ্রাঘাতে ৩ জনের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল