সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মন্তব্য প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘জি এম কাদের সাহেব হঠাৎ বলে বসলেন, সাইবার সিকিউরিটির নাকি জনগণের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।’
জি এম কাদেরকে সাইবার সিকিউরিটি আইনটি পড়ে দেখার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে তিনি দুটি জিনিস দেখতে পারবেন, একটি হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি আইনে বাংলাদেশ পেনাল কোডের সেই অপরাধগুলো আছে। আর টেকনিক্যাল অপরাধগুলো যোগ করা হয়েছে। আর সবগুলো পেনাল কোডের অপরাধগুলোকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এখানে এমন কোনও কথা নেই যেখানে গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে।’
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কসবা উপজেলা সদরে হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল হাই স্কুলের চারতলা ভবনের প্রথম তলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইন শুধু করা হয়েছে যারা শুধু সাইবার ক্রাইম করে, যারা কম্পিউটারকে মানুষের মান ইজ্জত হরণ করার জন্য ব্যবহার করে- এসব অপরাধকে বন্ধ করার জন্য।’
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পরও তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে দুই শর্তে মুক্ত করা হয়েছে। তিনি সেই দুই শর্ত মেনে মুক্তি পেয়েছেন এবং আজকেও তিনি সঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখন বিদেশে গেলেই তার অবস্থা ভালো হবে এ বিষয়টি আমার জানা নেই। কিন্তু আমি এইটুকু বলতে পারি আইন যা বলে তাতে তার যে দরখাস্ত সেটি আগেই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এখন নতুন করে আর কিছু করার নেই। সেজন্যই তিনি এখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন এবং সেই চিকিৎসাই তাকে গ্রহণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম আমিনুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র এম যে হাক্কানী, জেলা পরিষদ সদস্য এম এ আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।