দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন। এজন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। ভোটার তালিকায় তথ্য গরমিলের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। খন্দকার রুহুল আমিন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। এছাড়া নোয়াখালী-১ আসনের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদ মোহাম্মদ তুষারের মনোনয়নপত্রও একই কারণে বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, নোয়াখালীতে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের প্রার্থী ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। ঋণখেলাপির দায়ে এই দুই জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। মনোনয়ন বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে তারা নির্বাচন কমিশেন আপিল করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নোয়াখালী জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং সাত জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ৩২ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।’