কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর (বীর উত্তমের) বিরুদ্ধে বর্তমানে চারটি মামলা রয়েছে। যদিও পাকিস্তান আমলে তার বিরুদ্ধে ৮৩টি মামলা ছিল। টাঙ্গাইল ৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কাদের সিদ্দিকীর দেওয়া হলফনামা পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
হলফনামায় কাদের সিদ্দিকী সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের বাসিন্দা দেখিয়েছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক। পেশায় তিনি কৃষি, রাজনীতি, ব্যবসা ও লেখক।
হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নামে ৮৩টি মামলা হয়। তবে ওই মামলাগুলোতে তিনি খালাস পেয়েছিলেন কি না তা ‘জানা নেই’ বলে উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। এই চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া আরও চারটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। তার ওপর নির্ভরশীল আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি খাতে এক লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ চার লাখ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানদ (সুদ) এক হাজার ৩১৮ টাকা, পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন, পরামর্শক ইত্যাদি) থেকে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসায় কোনও আয় নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে সোনার বাংলা প্রকৌশলিক সংস্থা (প্রা.) লি. এর বিপরীতে অগ্রণী ব্যাংক লি. টাঙ্গাইল শাখা থেকে ২১ কোটি ৮০ লাখ ৩১ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন।
ইতিপূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি হলফনামায় আক্ষেপ করে লিখেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সময় থেকেই দেশ থেকে ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও সব প্রকার অনিয়ম দূর করে সবার জন্য সুন্দর একটি বসবাসযোগ্য আবাসভূমি বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত তার কিছুই অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালে নিজ দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে বিজয় লাভ করেন। গত নির্বাচনে তার মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী এ আসন থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়।