গেলো বছরের তুলনায় চট্টগ্রামে এবার হজযাত্রী কমেছে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে ১০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনের জন্য গেলেও এবার যাচ্ছেন মাত্র ৮ হাজার। এর আগের বছর ২০২২ সালে সংখ্যাটা ছিল ১২ হাজার। হজযাত্রীদের পরিবহনে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এবার বাংলাদেশ বিমানের ২২টি ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করবে। এর মধ্যে দুটি মদিনায় বাকি ২০টি ফ্লাইট মক্কায় অবতরণ করবে। প্রতিটি ফ্লাইটে ৪১৯ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে। আগের বছর চট্টগ্রাম থেকে ২৬টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করেছিল বাংলাদেশ বিমান।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম থেকে হজযাত্রী পরিবহন শুরু হবে। ওই দিন দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এবার চট্টগ্রাম থেকে ২২টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ২০টি যাবে মক্কায় এবং বাকি দুটি ফ্লাইট যাবে মদিনায়।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি ২২টি ফ্লাইটে আমরা চট্টগ্রাম থেকে সব হজযাত্রী নিয়ে যেতে পারবো। আগামী ১৪ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়ে চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ ৯ জুন চট্টগ্রাম থেকে সর্বশেষ হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাবে।’
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রাম জোনের সভাপতি শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে এবার হজ পালনের জন্য ৮ হাজার নারী-পুরুষ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ১০ হাজারের কিছু বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করেন। ২০২২ সালে ১২ হাজারের মতো লোক চট্টগ্রাম থেকে হজ পালন করেন।’
তিনি বলেন, ‘হজ পালনে খরচ বেড়েছে। এবার হজে যেতে প্রতিজনকে সর্বনিম্ন ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১৫ লাখের বেশি। তবে গেলো বছর সর্বনিম্ন খরচ ছিল ৭ লাখ টাকা। এবার কিছুটা কমেছে। আগে হজ পালনে খরচ অনেক কম ছিল। খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে আগ্রহ থাকার পরও অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজে যেতে পারছেন না।’