বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল’-এ পরিণত হয়েছে। এর পরপরই কক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে বাড়তে শুরু করেছে সাগরে পানি। ফলে সেন্টমার্টিনের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি-বাতাস শুরু করেছে। এতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দ্বীপে আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল-মোটেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমরা দ্বীপের লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে মাইকিং করছি। এছাড়া দ্বীপে সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি-বাতাস বইছে।'
দ্বীপের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, 'রাতে জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দ্বীপের সাগরের তীরে কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকেছে। যার ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের পানির বোতল ও শুকনো খাবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং চলছে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি আর বাতাসও বাড়ছে। এতে দ্বীপের মানুষের মাঝে ভয়-ভীতি বিরাজ করছে।'
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান।
তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, ‘বিপদ সংকেত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। দ্বীপে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার-পানি মজুত রাখার পাশাপাশি আমাদের মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে।'
আরও পড়ুন: কোন সতর্ক সংকেতের অর্থ কী