সফল অভ্যুত্থান, শহরজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পর এবার বাজার তদারকিতে নামলেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নাকাল জনজীবন। বুধবার (৭ আগস্ট) দিনভর কুমিল্লার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ করেন।
নগরীর টমছমব্রিজ ও রানীর বাজারে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার ও মাংসের বাজারে মূল্যতালিকা দেখা হয়। কিছু কিছু দোকানের পণ্যের তালিকা মিলিয়ে করে সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কি না, তাও দেখেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা বাজারে বিক্রেতাদের বলেন, ‘তারা যেন কোনও ধরনের চাঁদাবাজির শিকার না হন। নিজেরা যেন কাউকে চাঁদা না দেন।’ এ ছাড়া অযথাই দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে না ফেলারও আহ্বান জানান তারা।
টমছমব্রিজ বাজার পরিদর্শন শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন বিক্রেতারা। এদিন চিনি স্টক করে রাখা, মাছ ও মুরগির ওজনে কারচুপি, বাজারে চাঁদাবাজি এবং রাস্তার ওপরে দোকানপাট ও সিএনজিস্ট্যান্ড পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ ছাড়া বুধবার সারাদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও, বিএনসিসি ও স্কাউটের সদস্যরা নগরীর সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।