নির্বাচন প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যারা টেনশনে আছেন তাদের বলি, কিচ্ছু হবে না। ঠিক সময়মতো নির্বাচন হবে। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। একচুল পরিমাণ এদিক-ওদিক হবে না। সুষ্ঠু, সুন্দর ভোটের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হবেন।’
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ভাইদের বলি, আপনারা ইউজ (ব্যবহার) হচ্ছেন। আমি যতটুকু জানি আপনারা ব্যবহৃত হচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল কইরেন না। ১৪ বছর যাবৎ ক্ষমতায় আছি, কাউকে কিছু বলি নাই। অথচ আপনারা আমার নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছেন। আমার অনেক কর্মীকে গুলি করে মেরেছেন। আমার নির্বাচনের সময় পোলিং এজেন্টের কাজ করেছে এমন দুজন নারীকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেছেন।’
বিএনপির এক নেতাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বয়সে আমার অনেক বড়, ৭৮-৭৯ বছর বয়স। এই বুড়া বয়সে ধরা খেয়ে ২৩ বছরের মেয়ে বিয়ে করেছেন। আগে তো দুইটা আছে (বউ)। করেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু রাজনীতির জায়গা নষ্ট করবেন না। আপনার বউয়ের নাম বলতে পারবো। কোন এলাকায় আছে সেটাও বলতে পারবো। কী ভাবছিলেন, পুলিশ আপনাদের ধরে না বিধায় ভাবছেন কেউ জানে না। আমরা চাই না পুলিশ আপনাদের ধরুক। প্রতিহিংসা চাইনা, একসঙ্গে বসবাস করতে চাই। কারণ, আমি জানি আগামীকাল নাও থাকতে পারি।’
মোবাইলে একটি পত্রিকার পেপার কাটিং দেখিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘১৯৭৮ সালে পাকিস্তানের একটি বড় পত্রিকায় জিয়াউর রহমানের ছবি ছাপা হয়েছে। পত্রিকায় বলা হয়েছে, যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতা হাতে নিলেন তখন বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের প্রত্যাবর্তন। অর্থাৎ তারা বলছে, বাংলাদেশে আবার পাকিস্তানিরা শক্তি ক্ষমতায় এসেছে। ওরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। এবারের ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এরা চাইছে বাংলাদেশকে পেছন দিকে নিয়ে যেতে। আগামী দিনে রাস্তার রাজনীতি থাকবে না। রাজনীতির লড়াই হবে মেধা, বুদ্ধি ও অর্থনীতির জোরে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির বলেন, ‘প্রত্যেক জেলায় যদি শামীম ওসমানের মতো কেউ থাকতো কিংবা তার ৮০ পারসেন্ট থাকতো তাহলে বাংলাদেশে ওই বিএনপি-জামায়াতরা কথা বলার সাহস পেতো না। বঙ্গবন্ধুর পরে শামীম ওসমান আর দ্বিতীয়টা জন্মাবে না। বাংলাদেশের মানচিত্রে ওই শকুনদের নজর পড়েছে। আমেরিকা যে দিকে নজর দিয়েছে তাদের আর শত্রুর দরকার হয় নাই। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দনশীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুবলীগ নেতা এহসানুল হাসান নিপু, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।