মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার পিটুনিতে মিরজন খালাসী (৪৩) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আসমত আলী খান ওরফে হাসমত (৪৫) নামের আরেক ডাকাত।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের চর ছলেনামা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরজন খালাসী বাঁশকান্দি ইউনিয়নের সুম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে। আহত আসমত আলী মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকার রত্তন খানের ছেলে।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত ২টার দিকে সুম্ভুক এলাকার হালিম ফকিরের বাড়িতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্য সংঘবদ্ধ পাঁচ ডাকাত সেখানে যায়। সেখানে লোকজন তাদের দেখে চিৎকার দিলে ডাকাত দল দৌড়ে এসে পাশের চর ছলেনামা এলাকায় একটি ঝোপের মধ্যে পালিয়ে থাকে। এ সময় গ্রামে ডাকাত এসেছে শুনে চর ছলেনামা, বাজিতপুর ও সুম্ভুক গ্রামের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। তিন ডাকাত পালিয়ে গেলেও মিরজন ও হাসমত জনতার হাতে আটক হয়।
পরে এলাকার লোকজনের পিটুনিতে মিরজন নিহত ও হাসমত আহত হন। খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের এসআই গুলজার আলমের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল বাজিতপুর গ্রামের রত্তন মোল্লার বাড়ির পাশে থেকে তাদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন ও আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে আহত হাসমত বলেন, এই প্রথমই গেছিলাম অটো চুরি করতে। আমরা পাঁচ জন ছিলাম। জেলে ওদের সঙ্গে পরিচয়। এলাকার লোকজন মারছে।
হালিম ফকিরের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, রাতে আমি বের হলে আমি দেখতে পাই ৫/৬ জন লোক আমাদের বাড়ির গেটের তালা খুলছে। পরে আমি জিজ্ঞেস করি আপনারা কারা। তখন আমাকে বলে আমরা পার্টির লোক। পুলিশ আমাগো ধাওয়া করছে। আমি তাদের কাচারি ঘরে যেতে বলি। পরে দেখি তারা আমাদের গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করছে। এ সময় আমি চিৎকার করি তখন বাড়ির সব লোক উঠে গেলে ওরা দৌড়ে পালিয়ে ছলেনামার দিকে চলে যায়। পরে ওখানে আটক হয়।
শহিদুল ইসলাম নামে চর ছলেনামা এলাকার একজন বলেন, রাতে সুম্ভুকে গিয়েছিল ডাকাতি করতে। পরে সেখানে ওই এলাকায় লোকজনের হাত থেকে বাঁচতে চর ছলেনামা এলাকায় একটি ঝোপের মধ্যে পালায় ডাকাতদল। পাবলিক তাদের আটক করে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশের সদস্যরা দুই জনকে এখানে নিয়ে এলে আমরা একজনকে মৃত অবস্থায় পাই। আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
শিবচর থানার এসআই গুলজার আলম বলেন, থানা এলাকায় রাতে আমার ডিউটি ছিল। সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে তাদের উদ্ধার করি। পাবলিকের পিটুনিতে এক জন মারা গেছে আরেকজন হাসপাতালে আছে।