মুন্সীগঞ্জে পৃথক মামলায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী আবদুল হান্নান এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জসিম উদ্দিন, শাহিন আলম, সামসুল আলম, মকসুদ মিয়া, রিয়াজ উদ্দিন। সেই সঙ্গে আসামি সামসুল আলম, মকসুদ মিয়া, রিয়াজ উদ্দিনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতে বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে দুই আসামি পলাতক। দণ্ডপ্রাপ্ত মাকসুদ মিয়া, রিয়াজ উদ্দিন ও শাহিন আলম ভাই। তারা কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া গ্রামের মৃত একলাস মিয়ার ছেলে। জসিম উদ্দিন একই এলাকার মোহাম্মদ হোসেন ও সামসুল আলম মৃত এ কে ফজলুল হকের ছেলে।
জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে নদী পথে পাচারকালে ২০২২ সালের ২ মার্চ সন্ধ্যার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কাজিপুরা ফেরিঘাটের রাস্তার মুখে বিল্লাল মুফতির বাড়ির সামনে আসামি জসিমের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল পাঁচ রাউন্ড গুলি, ১১৫০ বোতল নেশার ইনজেকশন, শাহিন আলমের থেকে চার রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশি পিস্তল ও ১১৫০ বোতল নেশার ইনজেকশন, সামছুল আলমের কাছ থেকে ছয় কেজি ক্রিস্টাল মেথ, মাকসুদের কাছ থেকে ছয় কেজি ক্রিস্টাল মেথ, রিয়াজের কাছ থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় মাদক ও অস্ত্র আইনে গজারিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের এই সাজা দেন আদালত।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মতিন বলেন, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক মামলায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন বলেন, রায়ের সময় তিন আসামিকে কারাগার থেকে পুলিশ পাহারায় আদালতে হাজির করা হয়। আসামি জসিম ও শাহিন পলাতক। আদালত পাঁচ আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে ওই তিন জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।