রাজবাড়ীতে সাপের কামড়ে সুবিতা রানী দাস (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়।
সুবিতা রানী রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের ধুবারিয়া গ্রামের ধিরেন্দ্রনাথ দাসের স্ত্রী। তবে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকদের অবহেলায় ওই নারীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
মৃত সুবিতা রানী দাসের নাতি অন্তর কুমার দাস বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির টিউবওয়েলে বাসন পরিষ্কারের কাজ করছিলেন সুবিতা দাদি। ওই সময় হঠাৎ একটি গোখড়া সাপ তার ডান হাতে কামড় দেয়। পরিবারের সদস্যরা ওই সময়ই তার হাতে বাঁধন দিয়ে ৬টা ২০ মিনিটে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসনে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পরই চিকিৎসকরা অ্যান্টিভেনম না দিয়েই রোগীর অবস্থা দেখার জন্য হাতের বাঁধন খুলে দেয়। এ ঘটনার ৫০ মিনিট পর তার মৃত্যু হয়। তিনি এই মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকদের অবহেলাকে দায়ী করেন।
অভিযোগ রয়েছে, রাজবাড়ী সদর হসপিটালে সাপে কামড় দেওয়া রোগী এলে রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। যদি বিষধর সাপে কামড় দেওয়া হয় তাকে অ্যান্টিভেনম না দিয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আর যদি বিষধর সাপে না কামড় দেয় তাহলে ভর্তি রাখা হয়।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মো. আব্দুল হান্নানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তিনি জানান, রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেই সময় তিনি মারা যায়।
তবে কী কারণে বিষধর সাপে কামড় দেওয়া রোগীদের অ্যান্টিভেনম না দিয়ে রেফার্ড করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বজনদের ইচ্ছায় রেফার্ড করা হয়।