গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে স্বামী-স্ত্রী ও চার বছরের শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রী ও চার বছর বয়সী সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামীও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। রবিবার (২৩ মার্চ) সকালে কাশিমপুরের গোবিন্দবাড়ী (দেওয়ানেরবাড়ী) এলাকায় রিপন মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার সোলাপতিমা (বঙ্খী) গ্রামের আবুর ছেলে নাজমুল (২৭), তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার (১৯) এবং শিশুকন্যা নাদিয়া আক্তার (৪)। খাদিজা আক্তার স্বামী-সন্তান নিয়ে বাবা রিপন মিয়ার বাসায় থেকে স্থানীয় সারদাগঞ্জ রিচকটন পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাজমুল মাদকাসক্ত ছিল। কোনও কাজকর্ম করতো না। মাঝেমধ্যেই এসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। শনিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় তারা নিজ ঘরে শুয়ে পড়েন। সকাল হলেও ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন তাদের ডাকাডাকি করলেও সাড়াশব্দ না পেয়ে স্বজনরা ঘরের পেছন দিকের জানালার ফাঁক দিয়ে নাজমুলের লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন খাদিজা ও নাদিয়ার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শনিবার (২২ মার্চ) রাতের কোন একসময় প্রথমে স্ত্রী ও পরে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নাজমুল। পরে প্রথমে নিজের শরীরে, হাতে এবং গলায় ব্লেড দিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে টয়লেটে ব্যবহারের হারপিক খেয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পুলিশ নাজমুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার স্ত্রী ও চার বছরের শিশুসন্তানকে বিছানা থেকে উদ্ধার করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, নিহত স্বামী নেশাগ্রস্ত ছিল। তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।