X
শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩
১৮ চৈত্র ১৪২৯

দুই গ্রন্থাগারে বই ৬৫ হাজার, পাঠক মাত্র ১০৭ জন

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
২৫ নভেম্বর ২০২১, ১১:১৮আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২১, ১২:০৩

পর্যাপ্ত বই থাকার পরেও চুয়াডাঙ্গার দুটি গ্রন্থাগারে মিলছে না পাঠক। পুরোনো সদস্যদের অনেকেই তাদের সদস্যপদ নবায়ন করেননি। চলতি বছরে দুটি গ্রন্থাগারে পাঠকের সংখ্যা বাড়া তো দূরের কথা বরং কমেছে অনেক।

দুটি গ্রন্থাগারের কয়েকজন সক্রিয় সদস্যরা বলছেন, জেলাবাসীর কাছে গণগ্রন্থাগার দুটির পরিচয় করিয়ে দিতে নেই কোনও প্রচার-প্রচারণা। ফলে গ্রন্থাগারের পর্যাপ্ত পরিমাণে বই থাকলেও নতুন পাঠক আসছেন না।

এ দুই গ্রন্থাগারের একটি জেলা শহরের শহীদ রবিউল ইসলাম সড়কের টিঅ্যান্ডটি মোড়ে অবস্থিত।  নাম চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগার। আরেকটি শহীদ আবুল হোসেন সড়কের আবুল হোসেন স্মৃতি পাঠাগার। তবে বর্তমানে অবকাঠামো সংস্কারের জন্য পাঠাগার ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবুল হোসেন স্মৃতি পাঠাগারটি ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঠকের জন্য খোলা থাকে পাঠাগারটি। সাধারণ সদস্যদের মাসিক চাঁদা ২০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের চাঁদা ১০ টাকা—তবু এখানে একজন সদস্যও শিক্ষার্থী নন। পাঠকের জন্য ২৮ হাজার বই আছে পাঠাগারটিতে। পাঠাগারে বর্তমানে পাঠক সংখ্যা ১২ জন। চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন এ পাঠাগারটিতে।

অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সরকারি গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের দেখা মিললেও তা অনিয়মিত। বেশিরভাগ সময় পড়ার কক্ষ থাকে পাঠকশূন্য। কক্ষের চারদিকে সাজানো হাজারো বই থাকলেও লাইব্রেরিতে বর্তমান সদস্য সংখ্যা মাত্র ৯৫ জন।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগারের পাঠক মজিবুর রহমান বলেন, বইপ্রেমীদের চাহিদা পূরণ করতে গণগ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। লাইব্রেরিতে অনেক বই, কিন্তু পাঠক তেমন নেই। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই জানেন না এখানে লাইব্রেরি আছে।’

চুয়াডাঙ্গা সরকারি গণগ্রন্থাগারের জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান জুলফিকার মতিন জানান, গ্রন্থাগারে স্থানীয় লেখকদের বইসহ বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিশুসাহিত্য, দর্শন, খেলাধুলা, বাণিজ্য, ধর্মীয়, ভ্রমণ কাহিনী, আত্মজীবনী, বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ের মোট ৩৭ হাজার বই রয়েছে।

সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট আবু সাঈদ মামুন জানান, পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয়, আঞ্চলিক, স্থানীয়, সাপ্তাহিক, মাসিক, চাকরির পত্রিকাসহ নিয়মিত ১৪টি পত্রিকা রাখা হয়। বর্তমানে আমরা পাঠক বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও অনেক সময় তা মানুষের মূল্যবোধ আচরণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশু-কিশোর ও তরুণদের সিলেবাসের সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বের করতে পারে একমাত্র গ্রন্থাগার এমনটাই মনে করছেন জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব নিলো রাশিয়া
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব নিলো রাশিয়া
সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রেস কাউন্সিল আইনের পরিবর্তন দরকার: চেয়ারম্যান
সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রেস কাউন্সিল আইনের পরিবর্তন দরকার: চেয়ারম্যান
নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ
নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায় বাংলাদেশ
ডিবি কার্যালয়ে হিরো আলম
ডিবি কার্যালয়ে হিরো আলম
সর্বাধিক পঠিত
চাকরি জীবনের প্রথম কাজে আসিফ পাস!
চাকরি জীবনের প্রথম কাজে আসিফ পাস!
প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল: এডিটরস গিল্ড
প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল: এডিটরস গিল্ড
২২০ টাকায় মুরগি বিক্রি করায় জরিমানা, অভিযান দেখে পালালেন ব্যবসায়ীরা
২২০ টাকায় মুরগি বিক্রি করায় জরিমানা, অভিযান দেখে পালালেন ব্যবসায়ীরা
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সরকারি চাকরির বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী অঙ্কিতার গল্প
ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী অঙ্কিতার গল্প